বাংলাদেশ

করোনা সংক্রমণ এক সপ্তাহে ৬০% বেড়েছে

  প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২২ , ৫:১৪:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। গত এক সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণ বেড়েছে ৬০ শতাংশ।

আজ রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ) অধ্যাপক রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের হার গত ২০ ডিসেম্বর থেকে বাড়তে শুরু করে। ২৭ ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ ২ শতাংশ পার হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে এ হার দুইয়ের নিচে বা কখনো একের নিচেও চলে গেছে।

তিনি সরকারি উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, নভেম্বরে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৭৪৫ জন আর ডিসেম্বরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৫৫ জনে। করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে। শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

অধ্যাপক রোবেদ বলেন, দেশে করোনায় মৃতদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্বদের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে মৃত্যুর হার ১১ শতাংশ।

করোনার অতিসংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তবে এর তিনদিন আগে বতসোয়ানায় এটি ধরা পড়ে। আশার কথা হলো, ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভীষণভাবে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার সংখ্যা কম। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সবার জন্য মাস্ক পরিধান করার কোনও বিকল্প নেই। নিজের সুরক্ষার জন্য শুধু নয়, অন্যের জন্যও এটি জরুরি।

দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের যেসব জায়গায় ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে সেখানকার চিত্র ও গবেষণায় পাওয়া তথ্য তুলে ধরে রোবেদ আমিন বলেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের যে ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া হচ্ছে সেটা কোনোটাই ওমিক্রন প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকর না। যারা আগে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডির মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে ওমিক্রম কার্যকর থাকতে পারে।

বলা হচ্ছে, যারা কোভিড-১৯ এর দুটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা যেন বুস্টার ডোজ নেন। কারণ বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে অ্যান্টিবডির মাত্রা অনেক বেড়ে যায় যা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যে তথ্য এসেছে তাতে ওমিক্রণে পুরুষের চেয়ে নারীর আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। একইসঙ্গে তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। এক সময় বলা হতো তরুণদের ইমিউনিটি বেশি তারা আক্রান্ত হবেন না। ওমিক্রন এসে সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। শিশুদেরও আমরা আক্রান্ত হতে দেখেছি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by