দেশজুড়ে

কলাপাড়ায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৬:৫৩:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি  : নভেল করোনা ভাইরাস রোধে বহিরাগতদের হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়ায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টিয়াখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: রিয়াজ উদ্দিন আকনকে (৩৭) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বুধবার রাত ১১টার সময় টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের জিয়া কলোনীতে এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলে পাবনা থেকে ইটবাড়িয়া গ্রামের জিয়া কলোনীর বাসিন্দা উজ্জল ভ‚ঁইয়ার বাড়িতে তাঁর ভায়রা ও ভায়রার স্ত্রী আসেন। বহিরাগতরা গ্রামে প্রবেশ করার খবর পেয়ে ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন আকন উজ্জলের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন। এ সময় তিনি আগত দম্পতিকে হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন। বহিরাগত হিসেবে এ দম্পতি যাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘোরাফেরা না করেন, তা নিষেধ করেন। এতে উজ্জল ভঁ‚ইয়া ও তাঁর ভাই শামীম ভ‚ঁইয়া ক্ষিপ্ত হয় এবং ইউপি সদস্যের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মারামারি শুরু হয়। এতে ইউপি সদস্যের ডান পাশের পাঁজর ক্ষতবিক্ষত হয়। পিঠেও চার-পাঁচটি কোপের আঘাত লেগেছে। পরে স্থানীরা ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। 

জনসচেতনতার কাজ করতে গিয়ে ইউপি সদস্যের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসির গণধোলাইয়ের শিকার হয় উজ্জল ভঁ‚ইয়া (৩০) এবং শামীম ভ‚ঁইয়া (২৮) নামে দুই আপন সহদর। উজ্জল ভ‚ঁইয়াকে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে শামীম ভূঁইয়া পলাতক রয়েছে। এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানায়, উজ্জল ভঁ‚ইয়া থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় দাপট দেখায় এবং সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছে।

কলাপাড়া উপজেলা হাসপালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জে.এইচ.খান লেলীন জানান, সন্ত্রাসী হামলার শিকার ইউপি সদস্যের অবস্থা গুরুতর। তাঁর ডান পাঁজরের কোপটি গভীরে গেছে। ভুড়ি বরাবর আঘাতটি লেগেছে। পিঠেও কয়েকটি কোপ লেগেছে। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রæত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’   

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কলাপাড়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা হাসপালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by