রংপুর

খানসামায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে পরীক্ষামূলক চাষ

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২১ , ৭:০৯:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) :

 

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে প্রথমবারের মত কালো সোনা নামে খ্যাত উচ্চ ফলনশীল বারি পেঁয়াজ-১ এর বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের বাস্তবায়নে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে প্রান্তিক চাষিদের কাছে সহজলভ্য করতে কৃষক পর্যায়ে সম্ভাবনাময় বারি পেঁয়াজ-১ জাতের এ বীজ এক একর জমিতে চাষ করেছেন কাচিনীয়া গ্রামের মো. শরিফুল ইসলাম।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ভাবকী ইউনিয়নের কৃষক শরিফুল ইসলামকে বারি পেঁয়াজ-১ জাতের কন্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আগে কৃষক শরিফুলকে চাষ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন পদ্ধতি, সংরক্ষণ পদ্ধতি ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া বিষয়ে বগুড়া, দিনাজপুর ও খানসামায় একাধিকবার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এসব কন্দ গত নভেম্বর মাসে লাগানো হয়। বর্তমানে পেঁয়াজের ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা অনুযায়ী প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রথমবােের মত স্থানীয়ভাবে বীজ উৎপাদনে পরীক্ষামূলক চাষ করছি। পেঁয়াজের কন্দ বাদে জমি তৈরি, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং পরিচর্যা বাবদ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা। চাষকৃত এসব ফুল থেকে প্রতি একরে ২শ থেকে ২শ ৫০ কেজি পর্যন্ত বীজ সংগ্রহ হবে বলে আশা করছি। এসব বীজ সংরক্ষণ করে বাজারজাতকরণে কৃষি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় বলেন, পেঁয়াজ বাংলাদেশের একটি অর্থকরী মসলা ফসল ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্য। কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন একটি লাভজনক প্রযুক্তি। রবি মৌসুমে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষিরা অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারে। কৃষি বিভাগ থেকে উপজেলার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপননে চাষিদের নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ভালো মানের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করে আর্থিক মুনাফা অর্জন হবে বলে তিনি মনে করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by