খুলনা

খুলনার এইচএসটিটিআই’র উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, আর্থিক অনিময়-দূর্নীতিসহ নানা অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০২০ , ৩:১৯:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

খুলনার এইচএসটিটিআই’র উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, আর্থিক অনিময়-দূর্নীতিসহ নানা অভিযোগ

জিয়াউল ইসলাম খুলনা সদর প্রতিনিধি: খুলনা এইচএসটিটিআই’র উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) ও বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(মউশি) প্রফেসর ড. শেখ মোহতাশামুল হকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, আর্থিক অনিয়ম ও দূর্নীতি, অনৈতিক সুবিধা নেওয়াসহ নানা অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ সকল অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে গঠিত তিন সদস্যের অডিট কমিটি। কমিটির প্রতিবেদনে প্রফেসর ড. মোহতাশামুল হক মারুফের রিরুদ্ধে রেষ্ট হাউজের সুপারের দায়িত্ব থাকাকালিন সময়ে অর্থ আত্মসাৎ, চরম আর্থিক অনিয়ম, তিন অর্থ বছরে কোন অর্থ সরকারি ফান্ডে জমা না দেওয়া, দেড় বছরের অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি ছাড়াই ইচ্ছামত খরচ করা, ভূয়া ও কাচা ভাউচারে বিল, বিধি লঙ্গন করে কয়েক মাসে আয়ের তুলনায় ১০ গুন বেশি খরচ দেখানো, সরকারি নিয়ম বহিভূতভাবে রশিদ বা প্রমাণপত্র ছাড়াই অর্থ গ্রহন, আয়-ব্যায়ের রেজিষ্ট্রারে কাটাছেড়া-ওভাররাইটিং, ষ্টক রেজিষ্ট্রারের মধ্যে ভাউচারের ক্রয়কৃত মালামালের গড়মিল ছাড়াও চাহিদাপত্রের সাথে ক্রয়কৃত মালামালের ব্যাপক পার্থক্যসহ চরম অনিয়ম ও দূর্নীতি উঠে এসেছে। তার বিরুদ্ধে পরিচালকের অনুমতি ছাড়া অফিসের আলমিরা খুলে জরুরী গুরুত্বপুর্ণ কাগজপত্র, নথি ও ডকুমেন্টস সরানো এবং পার্শবর্তি সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষকের সাথে অসদাচরণ, হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদশর্নের করায় আড়ংঘাটা থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রীসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক একাধিকবার কারণ দর্শানো ও শোকজ হয়েছে বলে সুত্রে জানাগেছে । এছাড়া খুলনা বিএল কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের ভূয়া শিক্ষক পরিচয়ে বছরের পর বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক হিসাবে অবৈধ সুযোগ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গুরুতর অভিযোগ মাথায় নিয়ে বহাল তবিয়তে ক্ষমতাধর প্রভাবশালী প্রফেসর ড. মোহতাশামুল হক মারুফ।
এ ব্যাপারে প্রফেসর ড. মোহতাশামুল হক তার বিরুদ্ধে উঠে আসা আর্র্থিক অনিয়মের অভিযোগ গুলোর সঠিক উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গিয়ে অফিস সহকারির উপর দায় চাপান। তিনি বলেন অডিট কমিটি পরিচালক তার মদদপুষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে করিয়ে একটি অসত্য প্রতিবেদন দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সঠিক নয় এবং সুপারের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ায় যথাযথ নিয়মে অব্যহতি নিয়েছেন জানিয়ে বলেন প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বহিভূত কোন অনিয়ম ও দূর্নীতি তিনি করেনি।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক(প্রষণে) ড. মোঃ আতিকুল ইসলাম পাঠানের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটির অডিট প্রতিবেদন পেয়েছি যাতে ১৩টি মন্তব্য ও সুপারিশ করা হয়েছে যাতে বেশ কিছু অনিয়ম উঠে এসেছে এর বেশি কিছু বলা যাবে না। বিষয়টি যথাযথ কর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by