আন্তর্জাতিক

গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত গ্রেপ্তার

  প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২২ , ৪:৫৬:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দেড়ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। যদিও সিবিআইয়ের তরফে নিশ্চিত করে গ্রেপ্তারির কথা জানানো হয়নি।

সূত্রের খবর, আজই (১১ আগস্ট) আসানসোল আদালতে পেশ করা হতে পারে অনুব্রতকে। তবে বাড়ি থেকে বের করার পর কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তৃণমূল নেতাকে, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছুই জানায়নি সিবিআই।

বুধবার (১০ আগস্ট) রাতে বোলপুরে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। রাতে বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসে ছিলেন তাঁরা। সকালে গেস্ট হাউসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে সিবিআই। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়িতে ঢোকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ। দোতলার ঘরে বসে প্রায় দেড়ঘণ্টা দু’জন সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। সূত্রের খবর, তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় অনুব্রতকে। এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের তরফে গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে কিছু জানানো হয়নি। অ্যারেস্ট মেমোতেও সই করানো হয়নি বলেই খবর।

সিবিআই সূত্রের খবর, এর আগে গরু পাচার মামলায় সিআরপিসি’র ১৬০ ধারায় সাক্ষী হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করা হয়েছিল। তবে এদিন সিআরপিসি’র ৪১ (এ) ধারায় অভিযুক্ত হিসাবে নোটিস পাঠানো হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই আসানসোল আদালতে তোলা হবে তাঁকে। আদালতে পেশের আগে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর কথা। সেক্ষেত্রে কোথায় মেডিক্যাল চেক আপ হবে তাঁর, তা এখনও অজানা।

এই নিয়ে মোট দশবার সিবিআই তলব করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। মাত্র একবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন তিনি। বাকি নয়বার শারীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে সিবিআই হাজিরা এড়ান। সম্প্রতি সোমবার এবং বুধবার পরপর দু’দিন সিবিআই হাজিরা এড়ান। তার ফলে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ জোরাল হয়। আর তারপরই চরম সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by