ঢাকা

গাজীপুরে ফুলকপির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

  প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২২ , ৫:৫৪:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

সাইফুল ইসলাম শুভ, গাজীপুর সদর প্রতিনিধি:

গাজীপুর সদর উপজেলা মনিপুর উত্তরপাড়া এলাকায় রাস্তার ডানে পাশে শুধুই সবুজের ছড়াছড়ি। চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো। ফসলের মাঠের এতো সবুজের কৃতিত্ব কৃষক দের।

কিছুদিন আগেও শীতের শুরুতে মাঠ ছিল প্রায় নিরাভরন। মাঠে রোপিত ছোট ছোট গাছগুলো তখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়নি। সেই ছাড়া এখন পরিপূর্ণতা পেয়েছে। আর এতেই চারপাশে সবুজের এতো বিস্তৃতি ঘটেছে।

মনিপুর উত্তরপাড়া এলাকায় এই ফসলের মাঠের অবস্থান করে দেখা যায়। এখানে চাষ হয়েছে, বেগুন, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রভৃতি শীতকালীন সবজি। তবে বেশিরভাগ চাষ করা হয়েছে ফুলকপি।

মাঠের এপাশ থেকে ওপাশ শুধুই ফুলকপির ক্ষেত। বড় বড় পাতার আড়ালে লুকিয়ে আছে লাজন ফুলটি। যেনো সবুজের মধ্যে হঠাৎ আলোর ঝলকানি। ক্ষেতের আলে আলে মাটি থেকে তুলে রাখা হয়েছে পাতাসহ পরিপক্ক ফুলকপি। আর সেখান থেকে এগুলো টুকরিবোঝাই করে নিচ্ছেন চাষি। এরপর কাঁধে বয়ে সরাসরি রাস্তায় বেপারির ভ্যানের সামনে নিয়ে রাখছেন।

সেখানে চলে বেপারির লোকজনের তৎপরতা। তারা টুকরি থেকে এক একটি ফুলকপি ভ্যানে সাজিয়ে রাখছেন থরে থরে। এসব ভ্যানে করে এগুলো চলে যাবে আশেপাশের বিভিন্ন হাটবাজারসহ গাজীপুর সহ বড় বড় সবজি বাজারে।

প্রতিদিনই মাঠ থেকে সরাসরি চলে যাচ্ছে বিক্রির জন্য। তবুও ফুলকপির ক্ষেত এখনো ভরপুর ফসলে। প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে এ বছর ফুলকপি চাষ করেছেন মোঃ আব্দুল মুন্না।

প্রতিদিন ক্ষেত থেকে ১৫০ থেকে ২০০ পিস ফুলকপি তোলা হয় বিক্রির জন্য। তিনি নিজ হাতেই বেছে বেছে ফসল সংগ্রহের কথা জানালেন। এক একটি ফুলকপির ওজন গড়ে ২ থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত হয়। বড় বড় পাতাসহ ফুলকপি বিক্রির কারণ ব্যাখ্যা করে মোঃ আব্দুল মুন্না, ‘ক্ষেত থেকে বাজারে নেয়ার পথে যাতে ফুলটি নষ্ট না হয় সেজন্যই পাতাসহ রাখা হয়। ব্যবসায়ীরাও এভাবেই ফুলকপি নিতে চান।’

ফুলকপি ক্ষেতের বর্তমান পরিচর্যা প্রসঙ্গে মোঃ আব্দুল মুন্না ভোরের দর্পণ কে বলেন, ‘এখন আর নিয়মিত সেচের প্রয়োজন পড়েনা। মাঝে মধ্যে ফসলে পোকাদমনকারী ওষুধ ছিটাতে হয়। আর ১০–১২দিন পরে সেচ দিলেই চলে।’
সাধারণত আশ্বিন মাসের শেষ দিকে ফুলকপির গাছ রোপন করতে হয়। কার্তিক মাসের প্রথম দিকে ফুল আসতে শুরু করে। মোটামুটি মাসখানেক সময় লাগে পরিপক্ক হতে। এ বছর তাঁর ক্ষেতে নির্দিষ্ট সময়ের পরে কিছু ফলন রোপন করা হয়েছিল সেগুলো আর কিছুদিনের মধ্যেই বিক্রির উপযোগী হবে বলে জানিয়েছেন।

ক্ষেত থেকে বেপারীর কাছে ফুলকপি বিক্রিতে দাম ওঠানামা হয়। বর্তমানে প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এখান থেকে সংগৃহীত ফুলকপি সরাসরি চলে যায় গ্রামেগঞ্জে এলাকার বিভিন্ন বাজারে। আবার নিয়মিত সবজি বিক্রিতেরা আশেপাশের বাজারে অথবা পাড়া–মহল্লায় নিয়ে যায় বিক্রির জন্য।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by