বাংলাদেশ

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পশুর হাট নয় : ডিএনসিসি মেয়র

  প্রতিনিধি ২ জুলাই ২০২০ , ৮:৫৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) রাজধানীর ভেতরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানির পশুর হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘হাটের জন্য আগে যেসব দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তা সবই বাতিল করা হবে। হাট নতুন করে ইজারা দেওয়া হবে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাট ইজারা দিয়ে হয়তো কোটি টাকা আয় করা যাবে, কিন্তু টাকার চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। মানুষ বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে টাকা আসবে।’ তাই ঢাকার বাইরে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

একটা হাট তেজগাঁও এলাকায় ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা ভালো টাকা পেতাম। কিন্তু এবার এখানে হাট বসাব না। আফতাবনগর এলাকায় আমাদের একটা হাট বসে। পাশেই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটা হাট বসে। যেহেতু একই এলাকায় দুটি হাট বসছে, তাই আমি সেখানে হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

‘উত্তরা ১০, ১১ ও ১২-এই তিনটি সেক্টরে বড় হাট বসতো। গত বছর এই হাটে ইজারা মূল্য পাওয়া গিয়েছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কিন্তু এবার এই হাট আমরা দেব না। উত্তরার লোকজন উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকা থেকে পশু কিনতে পারবেন। এই এলাকায় মানুষের বসবাস কম’, যোগ করেন আতিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, মোহাম্মদ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বছিলার ভেতরে রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় একটা হাট দেওয়া হবে। এ ছাড়া হাট থাকবে পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী ও ১০০ ফুট সড়কের সাইদ নগর এলাকায়।

এ ছাড়া গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট থাকবে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘করোনার সংক্রমণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা ঢাকার ভেতরে পশুর কোনো হাট না রাখার কথা ভাবছি।’

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করার পর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, এভাবে হাট বসালে করোনার বিস্তার ঘটার আশঙ্কা আছে। তারা অনলাইন বা বিকল্প মাধ্যমে পশু কেনাকাটার বিষয়ে জোর দেন।

এ প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা অনলাইনে পশু কিনতে চান, তাদের জন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যায়, এ বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করছেন।

এ বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট বাদে আরো ১১টি স্থানে অস্থায়ী হাট বসানোর জন্য গণমাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করেছিল ডিএনসিসি। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় দরপত্র খোলার পর কয়েকটিতে সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ইজারাদার পাওয়া গিয়েছিল।

তারপরও আগের দরপত্রগুলো বাতিল করে নতুন করে ঢাকার বাইরে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন বলেও জানান ডিএনসিসির মেয়র।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by