প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২১ , ৮:৩২:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
পাবনার চাটমোহরে বাড়ি-ঘরে হামলা, মারপিট ভাঙ্চুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আনোয়ারা খাতুন নামের এক নারী।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের আনকুটিয়া গ্রামে হামলার শিকার ভাঙা বাড়িতেই এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারা খাতুনের পক্ষে তার মেয়ে রিতা খাতুন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বক্তব্যে বলা হয়, সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রায় ১১ বছর আগে আনোয়ারা বিদেশ যান। বিদেশ থাকাকালে আনোয়ারা তার পিতা আহম্মদ শাহ’র নিকট জমি কেনার জন্য কয়েক দফায় টাকা পাঠান।
সে টাকা দিয়ে বাড়ির পাশের তার ফুফাতো ভাই সোহরাব শাহ’র ছেলে মহরম হোসেনের জমি কেনার সিদ্ধান্ত হয়। মহরম এজন্য টাকা নিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে আনোয়ারা দেশে ফিরে জমি রেজিস্ট্রি করে চাইলে এবং টাকার হিসাব চাইলে মহরম হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। এরপর নানাভাবে আনোয়ারা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপরে নির্যাতন শুরু করে।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারা খাতুন বলেন, এরই এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর মহরম গং বহিরাগতদের নিয়ে আনোয়ারার বাড়ি হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করাসহ আনোয়ারা ও তার ২ ছেলে হত্যার চেষ্টা চালায়। হামলায় আহত আনোয়ারা পঙ্গুত্ববরণ করেন। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানার তৎকালীন ওসি শেখ নাসির উদ্দিন মামলা বা অভিযোগ গ্রহণ না করে আনোয়ারাকে থানা থেকে বের করে দেন।
আনোয়ারা অভিযোগ করেন, এরপর পুলিশ তাকে বিনা কারণে আটক করে মিথ্যে অভিযোগে আদালতে পাঠায়। ওই ঘটনার পর ২ বছরের বেশি সময় ধরে আনোয়ারা ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘর-বাড়ি ছেড়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
এই হামলা ও মারপিটের কোন প্রতিকার কোথাও না পেয়ে অবশেষে পাবনার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন আনোয়ারা খাতুন।
পুলিশ সুপার চাটমোহর থানা পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। এক পর্যায়ে মহরম হোসেন টাকার বিনিময়ে সাড়ে ৭ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য হয়। বাকি ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা আর দিচ্ছেনা।
এজন্য সাড়ে ৪ শতাংশ জমি দেবার কথা থাকলেও তা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। একইসাথে বাড়ি ঘর ভাঙ্চুর ও লুটপাটের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে আনোয়ারা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারার স্বামী মো. আবু তালেবসহ গ্রামের ২/৩ জন উপস্থিত ছিলেন।