প্রতিনিধি ১ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:০০:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি না মানলে ও সকল রাজবন্দীর মুক্তি না দিলে- চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনের ফুটপাতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, রোজার মাসে আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। এই সরকার মানুষের বাক স্বাধীনতা, বেঁচে থাকার অধিকার ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করছে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই রাজপথে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে তখনই অঘটন ঘটিয়েছে। ১৯৯৬ সালে তারা সচিবালয়ে আমলাদের উস্কানি দিয়ে বিদ্রোহ ঘটিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। কোনো সুষ্ঠু বিচার করতে পারেনি। ২০১০-২০১১ সালে সাধারণ মানুষের টাকা শেয়ার বাজার থেকে লুটে নিয়েছে।
সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আমাদের এখন এক দফা এক দাবি- এই সরকারকে টেনে-হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। দেশে এখন সংস্কৃতির দুর্ভিক্ষ চলছে। সাধারণ মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে হলে, ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হলে, ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
ক্বারি আবু তাহের বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কোমর ভেঙে দেয়া হয়েছে। এখন জাতির বিবেক সাংবাদিকদের পেছনে লেগেছে। কারণ মিডিয়া এই সরকারের সমস্ত অনিয়ম দুর্নীতি ফাঁস করে দিচ্ছে। আমাদের আহ্বান থাকবে, সাংবাদিক সমাজ আপনারা কলম বন্ধ করবেন না।
ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমিন বলেন, দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। হবিগঞ্জে তিনজন না খেয়ে মারা গেছেন। মধ্যবিত্তরাও চালের ট্রাকের লাইনের পেছনে ছুটছেন।
শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, বর্তমান আওয়ামী অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কেউ নিরাপদ নন। এমন কোনো অন্যায় ও দুর্নীতি নাই যা করেনি। এদেরকে বিদায় দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
অন্য বক্তারা বলেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেজন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তা-না হলে গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে। কারণ এই সরকারের আমলে ন্যায় ও ইনসাফ ধ্বংস হয়েছে।