আইন-আদালত

জাপানি মায়ের কাছেই থাকবে দুই শিশু

  প্রতিনিধি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১২:৫৩:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানোর দুই মেয়ে জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা তাদের মায়ের সঙ্গে থাকবে। তবে তাদের বাবা সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।

একইসঙ্গে দুই শিশু কন্যার জিম্মার বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক আদালতে করা মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই শিশুর জিম্মা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে আজ রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করীম, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আর বাবার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল, আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও অনীক আর হক, তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মারুফুল ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট শিশির বলেন, আদালত বলেছেন, শিশুরা মায়ের কাছেই থাকবে। তবে এই সময়ে তাদের নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়া যাবে না।

এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা এরিকোর লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি) ওপর ৭ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। শুনানি শেষে এ বিষয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। তার ধারাবাহিকতায় আজ এ আদেশ দেওয়া হলো।

এর আগে ২৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ দুই মেয়েকে তাদের মায়ের সঙ্গে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকার আদেশ দিয়েছিলেন। তবে মায়ের কাছে থাকলেও প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনও সময় বাবা ইমরান শরীফ তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন।

এরিকোর আইনজীবী শিশির মনিরের তথ্যমতে, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো (৪৬) ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইনানুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে তিনটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।

 

তারা হলো- জেসমিন মালিকা (১১), লাইলা লিনা (১০) ও সানিয়া হেনা (৭)। এরিকো পেশায় একজন চিকিৎসক। তিন মেয়ে টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিল।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by