আন্তর্জাতিক

জিম্বাবুয়েতে সোনার খনিতে আটকে ৩০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

  প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০২০ , ১১:০১:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানের খবরে জানানো হয়েছে, জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে বিন্দুরা খনিতে আটকে পড়ে ৩০ জন শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলে খবরে বলা হয়।
জিম্বাবুয়ে খনিশ্রমিক ফেডারেশনের (জেডএমএফ) একজন সদস্য ক্রিস্টিনে মুনইয়োরো জানান, খনি থেকে পানি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু জেনারেটর শেষ পর্যন্ত কাজ শেষ করতে না পেরে ব্যর্থ হয়। ওই ব্যক্তি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি হলো এই খাদটি প্রায় ১০০ মিটারের মতো গভীর। খনিতে আটকে পড়া মানুষরা কাদামাটিতে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জিম্ববুয়ে সরকারের পক্ষ থেকে গার্ডিয়ানকে এ ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়।
সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি নিক মাঙ্গোয়ানা জানান, একটি গভীর অব্যবহৃত খনিতে মানুষগুলো প্রবেশ করেছে যার ফলে তারা এই বিপদের মধ্যে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও ৩০ জনের মতো ভেতরে রয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত সপ্তাহে দক্ষিণ জিম্বাবুয়ের এসিগোদিন অঞ্চলে ছয় জন মরা গিয়েছিল। এরপর চেগুতু অঞ্চলে ৫ জন মারা গিয়েছিল। গত বছরে কাদোমা অঞ্চল ও অন্য একটি পরিত্যক্ত খনিতে প্রবেশ করে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
উল্লেখ্য, দেশটিতে পরিত্যক্ত খনিতে প্রবেশের তৎপরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জিম্বাবুয়ে সরকারের একটি অন্যতম ব্যর্থতা বলেও মনে করা হয়ে এটিকে। সরকার এ প্রক্রিয়াকে থামাতে পারছে না বলে সংবাদমাধ্যমের তথ্যে উঠে এসেছে। দেশটির খনি ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে একটি নিয়মনীতির মধ্যে আনার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু এ নিয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় এমন ঘটনা বারবার ঘটছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, দেশটির রপ্তানি আয়ের ৬০ শতাংশ আসে সোনা রপ্তানি খাত থেকেই। উপার্জনের আশায় পত্যিক্ত খনিতে গিয়ে এখানে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by