বাংলাদেশ

জিয়ার ‘খেতাব’ নিয়ে মুখ খুললেন জাফরুল্লাহ

  প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৩:৩৬:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানো হচ্ছে, অন্যদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধার খেতাব কেড়ে নেয়া হচ্ছে, এটি সরকারের পরস্পরবিরোধী আচরণের বহির্প্রকাশ।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ‘করোনাকালে বাংলাদেশ, সংক্রমণের ১০ মাস’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের সময় জিয়া নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন। সেই হিসেবে কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এ কারণেই তিনি দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল হলে তাদের সব রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাও বাতিল হবে।

পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও বাদ পড়বে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে জামুকা। এরপর মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় শরিফুল হক ডালিমের নামের সঙ্গে ‘বীর উত্তম’; নূর চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিনের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি ছিল।

সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আরও যে মদদদাতা রয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে। অন্য দুই সদস্য হলেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by