বাংলাদেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ‘অপপ্রয়োগ’ হচ্ছে :আইনমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৬ মার্চ ২০২৩ , ৯:০৩:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অনেক ‘অপপ্রয়োগ’ হচ্ছে স্বীকার করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রয়োজনে সবার সঙ্গে কথা বলে এটি সংশোধন করা হবে। কারো বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরনের জন্য আইনটি করা হয়নি বলে দাবি তার। 

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শেপিং অব থার্ড সেক্টর-ল অ্যান্ড পলিসিস’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের জন্য এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে বৈদেশিক অনুদান  (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন-২০১৬ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

ইউএসএইডের প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস প্রকল্পের আওতায় কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল (আইসএনএল) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োন করে। 

অনুষ্ঠানে ধারনাপত্র পাঠ করেন আইসিএনএলের কনসালটেন্ট শারমিন খান। আলোচনায় অংশ নেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক সিআর আবরার, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।  

আইনমন্ত্রী বলেন, অনেকে বলেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো উপকারিতা নেই। আমার মনে হয় কিছু কিছু উপকারিতা রয়েছে। আামি এমন কথা বলব না এই আইনটার ত্রুটি বিচ্যুতি নেই। সব আইনেরই কিছু কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা আবার কিছু বাস্তবায়নে সমস্যা আছে। এগুলো সংশোধন করতে আবারো বসবো। আমরা দেখবো যে, রুলসের পরিবর্তন করে এই সমস্যা সমাধান করা যায় কিনা। না হলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে আইনের কিছু পরিবর্তন করা হবে। প্রয়োজনে বাজেট অধিবেশনের আগে সেটি উত্থাপন করা হবে।

আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার যুক্তিসঙ্গত কথা শুনতে চায়। নাগরিক সমাজের কথা বলা বন্ধ করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। সরকার চায় না সংবিধানবিরোধী কোনো আইন হোক।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই আইন মত ও বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী। গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য এই আইনটা সংশোধন করা জরুরি।

অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, গত সাড়ে চার বছরে এই আইনে ২ হাজার লোকের বিরুদ্ধে সাড়ে ১ হাজাত ১০০ মামলা করা হয়েছে। এই আইন সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। নাগরিকদের অধিকার রক্ষা হচ্ছে না। 

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধিকাংশ মামলা করা হয় এই আইনের ২৫ থেকে ৩৪ ধারার মধ্যে। এর মধ্যে ২৯ ধারা বেশি প্রয়োগ হয়ে থাকে। এ আইনটি মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে নিরাপত্তাহীন করে তুলছে। আইনটি গত ৫ বছরে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by