ঢাকা

দারুল আরকাম মাদ্রাসার ২ হাজার শিক্ষকের ৬ মাস বেতন বন্ধ

  প্রতিনিধি ২৮ জুন ২০২০ , ৪:২৯:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

দারুল আরকাম মাদ্রাসার ২ হাজার শিক্ষকের ৬ মাস বেতন বন্ধ

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রায় ২ হাজার শিক্ষক বিগত ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেননা। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
গত শনিবার বিকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাদ্রাসার শিক্ষকরা গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
এ সময় দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসার গোপালগঞ্জ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি মো. হুসাইন আহম্মেদ, হাফেজ মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলার সভাপতি মুফতি বেলায়েত হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ওই মাদ্রাসার গোপালগঞ্জ শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ২০১৭ সালে টুঙ্গিপাড়াসহ দেশের প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে মোট ১হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়।
তখন প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার দাওড়া হাদিসের সনদকে মাষ্টার্সের সমমান মর্যাদা দেন। ১হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসায় ২হাজার ২০ জন শিক্ষককে সরকারি চাকরি প্রদান করেন। কিন্তু আমরা দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা গত ৬ মাস ধরে বেতন পাচ্ছিনা।
এ অবস্থায় আমরা কারোর কাছে হাত পাততে পারছিনা। করোনা পরিস্থিতিতে  কোনও সরকারি সাহায্য সহযোগিতাও আমরা পাইনি। ঈদের আগে ভাগ্যে জোটেনি বেতন-বোনাস। তাই আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে আছি।
শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, মাদরাসাগুলো মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতাধীন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া দ্রুত এ প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব। আমাদের প্রতি মাসে ১১হাজার ৩শত টাকা বেতন দেওয়া হয়। করোনার মধ্যে ৬ মাস বেতন নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে নিদারুন কষ্টে আছি। তাই অচিরেই বেতন চালুর দাবি জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জ জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিডি মো.মাসউদুল হক বলেন, এ মাদ্রাসার শিক্ষকরা  সরকারি প্রকল্পের আওতায় চাকরি করেন। নতুন প্রকল্প পাশ না হওয়ায় তাদের ৬ মাসের বেতন বন্ধ রয়েছে। একনেকে এ সংক্রান্তে নতুন প্রকল্প পাশ হলেই, তারা আবার বেতন পাওয়া শুরু করবেন বলে আমি জানতে পেরেছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by