আন্তর্জাতিক

দিল্লির তাপমাত্রা নামল ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

  প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ , ৬:৫৪:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

দিল্লির তাপমাত্রা নামল ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
ছবি সংগৃহীত

সোমবার মওসুমের শীতলতম ভোরের রেকর্ড গড়ল দিল্লি। এ দিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশার কারণে কয়েকদিন ধরে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। রোববার দিল্লির সাফদারজংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, লোধি রোডে ছিল ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকালে ঘনকুয়াশার কারণে শূন্যে নেমে যায় দৃশ্যমানতা। ফলে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১০০টি বিমান ছাড়তে দেরি হয়েছে। আটকে পড়েন হাজার হাজার যাত্রীরা। নির্দিষ্ট সময়ে বিমান ছাড়েনি। 

মৌসুম ভবন জানিয়েছে, বিমানবন্দর ও রাজধানীজুড়ে বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমানতা ছিল শূন্যের কাছাকাছি। একই পরিস্থিতি ছিল দিল্লি সংলগ্ন পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বিস্তৃত এলাকায়। কম দৃশ্যমানতার কারণে সকালের দিকে গাড়ি চালাতে সমস্যায় পড়েছেন চালক। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিল্লির উদ্দেশে যাওয়া অন্তত ১৮টি ট্রেন সোমবার সকালে দেরিতে চলছে। প্রবল শৈত্যপ্রবাহের কারণে দিল্লি ছাড়াও পাঞ্জাবের ১৬টি ও হরিয়ানার আটটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসুম ভবন। 

শুক্রবার থেকেই দিল্লিতে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদও বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ছিল মাত্র ২০০ মিটার। ভোর ৩টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৪০০টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়, ২০টি শেষ পর্যন্ত বাতিল করতে হয়। ১০টি বিমানের উড্ডয়ন দিল্লির বদলে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লিগামী বহু বিমান দেরিতে ছাড়ায় কলকাতা বিমানবন্দরেও হাজার হাজার যাত্রী আটকে পড়ে। 

এদিকে মধ্যই দিল্লিতে সোমবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল। তবে স্কুলের সময়সীমায় বদল এনে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে- সকাল ৯টার আগে কোনো স্কুল খোলা হবে না। অন্যদিকে বিকেল পাঁচটার পর কোনো স্কুল খোলা রাখা যাবে না।

প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করেছে লক্ষাধিক মানুষ। রোববার রাত ১২ টা ১৩ মিনিটে মকর সংক্রান্তির পূণ্য স্নানের সময় শুরু হয়। যদিও সাগরে জোয়ার থাকায় পুণ্যর্থীদের রাত তিনটা থেকে স্নানের অনুমতি দেয় প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি- ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে চলতি বছর গঙ্গাসাগরের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে ৭৫ লাখ মানুষ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by