দেশজুড়ে

নন্দীগ্রামে লোকসানে দিশেহারা পোল্ট্রি খামারিরা

  প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল ২০২০ , ৭:৫০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি  : বগুড়ার নন্দীগ্রামে সোনািিল জাতের পোল্ট্রি মুরগির খামারিরা লোকসানের দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্কে দাম নেই, অন্যদিকে রানীক্ষেত ভাইরাসে মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে খামার মালিকরা হয়ে পড়েছে সর্বস্বান্ত।
জানা গেছে, উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল গ্রামের হাফিজুল ইসলাম ও আব্দুল হাকিম বাড়িতে সোনালি মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। তারা দুইজনে সোনালি জাতের ৪ হাজার মুরগি পালন করছিলেন। হঠাৎ করেই মুরগির খামারে রানীক্ষেত ভাইরাস দেখা দেয়। সেই ভাইরাসে গত দুইদিনে তাদের প্রায় দুই হাজার ৭০০ মুরগি মারা যায়। তবে কিছু মুরগি খামারে থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রভাবে মুরগির বাজার ধস নেমেছে। সে কারণে মুরগিও কেউ নিছে না। এতে খামার মালিকরা হয়ে পড়েছে সর্বস্বান্ত।
তাছাড়া এই উপজেলায় ছোট-বড় সোনালি জাতের ৪৬ টি মুরগির খামার রয়েছে। এ খামারগুলোতে মহামারি করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মুরগির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর গুজবে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে মুরগির বেচাকেনা। এতে চরম ব্যবসায়ীক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাঠ পর্যায়ের খামারিরা।
ক্ষতিগ্রস্থ পোল্ট্রি খামার মালিক হাফিজুল ইসলাম বলেন, তাদের দুটি খামারে ৪ হাজার সোনালি জাতের মুরগির ছিল। ভাইরাসে তাদের দুই হাজার ৭০০ মুরগি মারা গেছে। অন্য মুরগিদেরও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে তাদের প্রায় ৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে তারা দাবি করছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুনাংশু মন্ডল বলেন, রানীক্ষেত ভাইরাসে মুরগি মারা গেছে শুনেছি। তবে আমাদের অফিসে ওই খামারিরা কোন যোগাযোগ করে না। এছাড়া কোন খামারিরা অফিসে আসলে তাদের আমরা সঠিক পরামর্শ দিয়ে থাকি। তারপরও আমাদের পক্ষ থেকে খামারিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।  আর করোনায় ডিম-মুরগির মাংসে ঝুঁকি নেই। ডিম-মুরগিতে করোনাভাইরাস ছড়াই না। এটি একটি গুজব।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by