চট্টগ্রাম

নোয়াখালীতে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীর ‘বিবস্ত্র’ ভিডিও ধারণ প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধন প্রতিবাদ

  প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২০ , ৬:৫৯:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

দিদারুল আলম, নোয়াখালী : স্বামীর সামনে স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। ঘটনার নেপথ্যে জানা গেছে, ওই রাতে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একদল ধর্ষক। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে ওই ঘটনার ৩৩ দিন পর নয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করে। গত রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিতা গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত দুই দফায় অভিযান চালিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা বাদলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকেও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে তারা। এছাড়া আগের দিন রোববার বিকেল ৪টায় এক আসামি এবং রাত ১১টায় অপর আসামিকে একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন, একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ (৪১)। এ দিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন জেলা প্রশাসন ও নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন উর রশীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পুলিশের ৫টি ইউনিট ৭ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অপরদিকে ঘটনার পর ভয়ে বাড়িছাড়া নির্যাতিতা গৃহবধূকে সদর উপজেলার মাস্টার পাড়ার তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। ওসি মো. হারুন উর রশীদ জানান, পুলিশ অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা জানান, আমি নিরীহ লোক। সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোনো কথা বলার সাহস পাই না। আমি শুধু আল্লাহর কাছে বিচার চাই। এদিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনি সহযোগিতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by