বাংলাদেশ

ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান শ্রমিকদের, শুক্রবার প্রতিবাদ সমাবেশ

  প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২৩ , ৭:১০:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান শ্রমিকদের, শুক্রবার প্রতিবাদ সমাবেশ

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করার ঘোষণা দিয়েছে মজুরি বোর্ড। এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রমিকরা। ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। যৌক্তিক পরিমাণে মজুরি বৃদ্ধি না করার প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।  

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা প্রত্যাখান করছি। মজুরি বৃদ্ধির আমাদের যে দাবি সেটি সরকারকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবি আদায়ে ১১ সংগঠন নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্ম। এ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে আগামী শুক্রবার আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ করব।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের কাছে আমরা ২৫ হাজার টাকা মজুরি করার দাবি জানিয়েছি। সরকার সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এই দাবি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।

সরকারপক্ষের শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী পোশাক শ্রমিকদের জন্য এই মজুবি বৃদ্ধিতে সমর্থন দিয়েছেন। তারপরও আমরা চেষ্টা করব এটাকে আরও বৃদ্ধি করার।

এর আগে, পোশাক শ্রমিক ও মালিকপক্ষের ছয় দফা বৈঠক শেষে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এটা ঘোষণা করছি। ন্যূনতম মজুরি ৫৬.২৫ শতাংশ বাড়বে। আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। সঙ্গে বছরে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে। ফলে এখন থেকে পোশাক কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের ন্যূনতম সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।

জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৪ টাকা করার প্রস্তাব করেন শ্রমিকদের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি। অন্যদিকে, ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকার করার প্রস্তাব করেন পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তার প্রস্তাবের ভিত্তিতেই নতুন মজুরির ঘোষণা দিল সরকার।

২০১৮ সালে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ন্যূনতম মজুরি ছিল পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা।

ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে এবার আন্দোলন করছে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চ, গার্মেন্টস ওয়াকার্স অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by