চট্টগ্রাম

প্রধান শিক্ষকবিহীন কর্ণফুলীর ৫ স্কুলের কার্যক্রম ব্যাহত

  প্রতিনিধি ২৩ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:৪২:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধান শিক্ষকবিহীন কর্ণফুলীর ৫ স্কুলের কার্যক্রম ব্যাহত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘ দিন ধরে শূণ্য রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রেণি কক্ষে পাঠদানসহ দাপ্তরিক নানা কাজে বিদ্যালয়গুলোকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকলে স্কুলের নানা শৃঙ্খলায়ও বিঘ্ন ঘটে বলে অভিভাবকদের অভিযোগ রয়েছে।

যেসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই, সেসব স্কুলগুলো হলো দেয়াং পাহাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরলক্ষ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চরপাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিকলবাহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মৌলভীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

কর্ণফুলী প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে মোট ৩৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। কয়েক বছর ধরে উপজেলার এসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অবসর, মৃত্যু, মামলা জটিলতা ও সরাসরি প্রধান শিক্ষককের পদে নিয়োগ না থাকায় পদগুলো শূণ্য হয়ে পড়েছে। আর এসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ সহকারি শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের বহুবিদ দাপ্তরিক কাজ করতে গিয়ে শ্রেণি কক্ষে নিয়মিত পাঠদান করাতে পারছেন না। আবার প্রধান শিক্ষকের একটি পদ শূণ্য থাকার মানে বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা। এছাড়া একজন প্রধান শিক্ষক যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করবেন, তা একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পক্ষে করা হয়ে ওঠেনা।

জানা যায়, ২০১৩ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মাত্র একবার সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছিল। এরপর আর সরাসরি প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ কারণে প্রধান শিক্ষকের শূণ্য পদ আর পূরণ হয়নি। এতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওই সকল সরকারি প্রধান বিদ্যালয়ে কাজ চালানোর জন্য জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন আলমগীর জানান, ‘উপজেলায় ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্ব স্ব স্কুলের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরও দাপ্তরিক কাজ ও পাঠদানে কিছু সমস্যা থেকেই যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by