প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১০:২৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১২ খুনির ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৬ জনকে দেশে এনে শাস্তির সম্মুখীন করেছি। একজন তো আগেই মারা গেছেন। আমাদের প্রার্থনা ছিল যে মুজিববর্ষের মধ্যে অন্তত বাকি ৫ জনের একজনকে দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করতে পারি যেন। রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীকে দেশে আনার প্রক্রিয়া বেশ এগিয়েছে বলেও তিনি জানান।
মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানায়, রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
এর চূড়ান্ত ফল হিসেবে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে তার রাজনৈতিক আশ্রয় হারাতে পারেন এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইমিগ্রেশন পেয়ে গেছিল, এখন সেটা রিভিউ হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, আরেকজনকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে পারব।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ খোলে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে পাঁচ খুনির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। সর্বশেষ গত এপ্রিলে পলাতক আবদুল মাজেদ ধরা পড়লে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তবে দন্ডিত পাঁচ খুনি এখনো বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। তারা হলেন আবদুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী।