বাংলাদেশ

বাংলাদেশে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের খবর উড়িয়ে দিলো চীন

  প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২২ , ৯:২৫:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, ছবি সংগৃহীত

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বাংলাদেশে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের কথা নাকচ করে দিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, কোনো দেশ চাইলে সামরিক সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনায় তারা সহায়তা করে। অন্যদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত, ইউক্রেনে আগ্রাসনকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া পশ্চিমা গণমাধ্যম দ্বারা প্রভাবিত।

গণমাধ্যমের সঙ্গে ঢাকার বেইজিং রাষ্ট্রদূতের আলাপচারিতার আয়োজন ‘বসন্ত সংলাপ’ এ উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটসহ বাংলাদেশে চীনের সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ প্রসঙ্গও। সাংবাদিকদের প্রশ্নে সোজাসাপ্টা জবাব দেন চীনা রাষ্ট্রদূত।  বলেন, বিদেশের মাটিতে কোনো সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে না চীন। তবে কোনো দেশ চাইলে সামরিক সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে থাকে।

লি জিমিং বলেন, বিদেশের মাটিতে সামরিক ঘাঁটি করে না চীন। তবে যদি কোনও দেশ চায় তখনি সামরিক সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে থাকে। তবে বাংলাদেশে মিসাইল কারখানা তৈরির খবর খতিয়ে দেখা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস গণমাধ্যম কাজটি আরও ভালো করতে পারবে।

রাশিয়ার বিপক্ষে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাবে ভোট না দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আবেগ বাদ দিয়ে সংকটের যৌক্তিক সমাধানে উদ্যোগী তার দেশ। এছাড়া তাইওয়ান ও ইউক্রেন সংকট এক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই তুরস্কসহ অন্যদেশ যারা যুদ্ধ থামাতে সংলাপ আয়োজন করেছে। চীন অবশ্যই চেষ্টা করবে সংকট কাটাতে, আবেগ বাদ দিয়ে যৌক্তিক সমাধান করতে। বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই জাতিসংঘে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। আর তাইওয়ান ও ইউক্রেন দুটি ভিন্ন ইস্যু।

এদিকে সাম্প্রতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশিরা যেমন একাত্তরে যুদ্ধ করেছিল, তেমনি ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষীদের জন্য যুদ্ধ করছে তার দেশ। তার দাবি বাংলাদেশের মিডিয়া পশ্চিমা গণমাধ্যম দ্বারা প্রভাবিত।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by