দেশজুড়ে

বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, উদ্ধার কাজ তৎপর জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী

  প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২৩ , ৬:২০:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

বান্দরবানে টানা বৃষ্টিপাতের কারনে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে পৌর এলাকার বালাঘাটা, কালাঘাটা, ইসলাম পুর, শেরে বাংলা নগর, আর্মি পাড়া, মেম্বার পাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাড়িঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখন পানির নিচে, যান চলাচল না করলেও ভ্যান অথবা নৌকায় করে মানুষ পারাপার হচ্ছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারনে বান্দরবান পৌরসভার প্রায় এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণ এখন পানি বন্দী।

শহরে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের বাসভবন, বিদ্যুৎ অফিস সহ সরকারি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস বন্যায় কবলিত হয়ছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার কারনে রাতে অনেকটা উৎকন্ঠার মধ্যে নগরবাসী রাত্রি যাপন করছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক ভাবে কাজ না করায় অনেকটা বিছিন্ন আছে জেলার সাথে অন্য জেলা ও উপজেলার মোবাইল যোগাযোগ। 

এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের জন্য জেলায় ২০৭ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে।

আজ মঙ্গলবার ৮ই আগস্ট সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি বৈঠক করেছে ৬৯ ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি এবং বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।

জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বান্দরবান জেলা প্রশাসনকে সকল সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে সেনাবাহিনী পক্ষ হতে।এছাড়াও বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের পাশাপাশি সেনা সদস্যরাও উদ্ধার অভওযানে অংশ নিয়েছে।

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস এর সহকরী পরিচালক পূর্ন চন্দ্র মুৎসুদ্দী, জানান নিজেদের ফায়ার স্টেশনে গলা পর্যন্ত পানি হওয়া সর্তেও উদ্ধার অভিযানে সকাল হতে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন এবং পানিতে আটকে পড়া জনসাধারণ কে উদ্ধার করছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বান্দরবান সদর উপজেলায় পাহাড় ধ্বসে ২ জন নিহত,আলীকদম উপজেলায় ১ জন নিহত,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১ জন নিখোঁজ ও ৩৬ জনের মত আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

সার্বিক বন্যা বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী,পুলিশ সহ সকল প্রশাসনের সাথে আমরা মিটিং করেছি,সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে মেডিক্যাল টিম পাঠানো,বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ,পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট সরবরাহের ব্যবস্থা সহ আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবারের পাশাপাশি তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।সদর উপজেলা ছাড়াও লামা উপজেলায় বন্যায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে জরুরি ভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের প্রকৃয়া চলছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by