বাংলাদেশ

বিএনপির মুখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনে ঘোড়াও ডিম পাড়ে: ওবায়দুল কাদের

  প্রতিনিধি ৮ অক্টোবর ২০২৩ , ৬:১০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

বিএনপির মুখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনে ঘোড়াও ডিম পাড়ে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনে ঘোড়াও ডিম পাড়ে।

রোববার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে দেশের জনগণের সঙ্গে তামাশা করে আসছে। অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি ঐতিহ্যগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা-গণতন্ত্র সংবিধান ও নির্বাচনবিরোধী একটি রাজনৈতিক দল। 

পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর  রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় থাকতে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনে আজ্ঞাবহ ব্যক্তিদের নিয়ে সাদেক আলী ও আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। ছাত্রদলের চিহ্নিত ক্যাডারদের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আজ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার জন্য মায়াকান্নার মাধ্যমে বিদেশিদের কাছে করুণা ভিক্ষা করছে। ২০০৬ সালে বিএনপির এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টির জালিয়াতি উন্মোচিত হয়। ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কলুষিত করে দলীয় রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অপচেষ্টা চালায়। জনগণের আন্দোলনের মুখে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করতে বাধ্য হয়। 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বরাবরই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে। তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির অন্তরালে বিএনপি পুনরায় হত্যা-ক্যু–ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ জনগণের রায় ছাড়া কখনও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান এবং গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেজন্য বাংলার জনগণ ভালোবেসে তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ অভিধায় অভিষিক্ত করেছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র ও রাজনীতির গতিপথ কোনো বিদেশি শক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হবে না। একইভাবে দেশবিরোধী কোনো অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির হুমকির মুখে বিচ্যুত হবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কষ্টার্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন-অগ্রগতির চলমান অভিযাত্রা, জনগণের ভোটাধিকার, আইনের শাসন এবং জনগণের স্বার্থ সুরক্ষায় যেকোনো ধরনের আত্মত্যাগে প্রস্তুত রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by