বাংলাদেশ

বিদ্যুতের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ

  প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২২ , ৫:৪৫:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

বিদ্যুতের দাম ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি টিম। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রস্তাবিত ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাবের বিপরীতে তারা এই সুপারিশ করে।

আজ বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গণশুনানিতে এ সুপারিশ করে কারিগরি টিম।

পাইকারি রেটে প্রতি ইউনিট ৩ টাকা ৩৯ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিপিডিবি। অন্যদিকে এ প্রস্তাবের বিপরীতে ২ টাকা ৯৯ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে কারিগরি টিম।

বর্তমানে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পাইকারি রেটে ইউনিট প্রতি বিক্রি করছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে আরো ৩ টাকা ৩৯ পয়সা। কিন্তু ভর্তুকিবিহীন প্রতি ইউনিট বাড়িয়ে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা করার প্রস্তাব দেয় বিউবো। বিপরীতে ৮ টাকা ১৬ পয়সা করার সুপারিশ করেছে বিইআরসি।

শুনানিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা, বিইআরসির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিইআরসি সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫ দশমিক ১৭ টাকা নির্ধারণ করে। বিদ্যুতের একক পাইকারি বিক্রেতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।

নিজেরা উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি ও বেসরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছে। পাঁচটি বিতরণ কম্পানির কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করে আসছে। আর নিজেরা ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের শহরাঞ্চলে বিতরণ করে যাচ্ছে।

বিপিডিবির পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চাহিদা মতো গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে গেছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বিদ্যুতে গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২ দশমিক ১৩ টাকা, ২০২০-২১ অর্থ বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১৬ টাকায়। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, কয়লার মুসক বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে ইউনিট প্রতি উৎপাদন খরচ দাঁড়াবে ৪ দশমিক ২৪ টাকা।

পাইকারি দাম না বাড়লে ২০২২ সালে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লোকসান হবে বিপিডিবির।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by