প্রতিনিধি ৬ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:৩২:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। তারা সরাসরি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে দাবি করছে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
৬ জানুয়ারি, শনিবার বেলা সোয়া ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনা করেন। ট্রেনে আগুন লাগাতে লালবাগ এলাকার কয়েকজন দাগী আসামিকে দেয়া হয় দায়িত্ব।
জানা যায়, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক নবী উল্লাহ নবীকে আটক করে নিয়ে যায়।
হারুন অর রশীদ বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় কাজী মনসুর নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যুবদলের কয়েকজন নেতা ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনার পরিকল্পনা করেছিলেন।
তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে আগুন লাগানোর জন্য লালবাগ এলাকার কয়েকজন দাগী আসামিকে দায়িত্ব দেন। এই ঘটনায় অর্থ সহায়তা এবং পরিকল্পনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান বলেন, আলামত হিসেবে নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের ভিডিও কনফারেন্সে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ, মানিব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমলাপুরে প্রবেশের সময় একটি কামরায় আগুন দেয় নাশকতাকারীরা। এতে যাত্রীরা যে-যেভাবে পারেন কামরা থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় এক যুবক আগুনে আটকা পড়েন। তিনি বেশ কিছুক্ষণ আগুনের ভেতরেই দৌড়-ঝাঁপ করে বাঁচার চেষ্টা চালান। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেননি।
আগুনের এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দগ্ধ ৮ জনের শরীরের ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।