বাংলাদেশ

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সৌদি প্রবাসীদের রাষ্ট্রদূতের খোলা চিঠি

  প্রতিনিধি ১৫ জুন ২০২২ , ৮:১৮:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী লেখেন, ‘আপনারা সকলে অবগত আছেন, করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, সে সময় রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, সারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সারা বিশ্বের মতো আমরাও এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।’

সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসীদের বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশটিতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

বুধবার প্রবাসীদের উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে রাষ্ট্রদূত এ আহ্বান জানান।

খোলা চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘আপনারা সকলে অবগত আছেন, করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে যখন আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, সে সময় রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, গ্যাস, সারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সারা বিশ্বের মতো আমরাও এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।’

‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতি প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশের চহিদা মেটাতে আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স।’

রাষ্ট্রদূত লেখেন, ‘চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত প্রবাসীদের পাঠানো প্রায় ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের মধ্যে শুধু সৌদি আরব প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৪২০ কোটি ডলার। দেশের অর্থনীতিতে আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আমি আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’

তিনি লেখেন, প্রবাসীদের দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে সরকার ইতোপূর্বে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে, যা বর্তমানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্রবাসী যে কেউ এখন থেকে ১ লাখ টাকা দেশে পাঠালে সাথে আরও ২ হাজার ৫০০ টাকা প্রণোদনা হিসেবে পাবেন। ইতোপূর্বে ৫ লাখের বেশি টাকা পাঠালে প্রণোদনার টাকা পেতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল, কিন্তু বর্তমানে যেকোনো অঙ্কের টাকা পাঠানো হোক না কেন, কোনো কাগজপত্র জমা দেয়া ছাড়াই প্রণোদনার টাকা ব্যাংকে জমা হয়ে যাবে।

চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে তা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তথা ডলার রিজার্ভে জমা হয়। যা দিয়ে দেশের আমদানি ব্যয় ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো হয়। দেশের অর্থনীতি গতিশীল ও শক্তিশালী হয়।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীদের পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান নিশ্চিত হয়। এ ছাড়া প্রবাসে কষ্টার্জিত টাকা দেশে বৈধ আয় বলে বিবেচিত হবে।

‘বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের আমদানি ব্যয় মেটানো ও দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখার লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। তাই দেশের এ প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে অর্থ পাঠানোর জন্য আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি’, লেখেন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by