চট্টগ্রাম

বোয়ালখালীতে রেললাইনে অবৈধ বাজার, বাড়ছে জীবন ঝুঁকি

  প্রতিনিধি ১২ মার্চ ২০২৪ , ৩:০০:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

বোয়ালখালীতে রেললাইনে অবৈধ বাজার, বাড়ছে জীবন ঝুঁকি

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা সদরে স্থায়ী কোন কাঁচাবাজার না থাকার কারণে রেল লাইনের দুইপাশ দখল করে গড়ে উঠেছে কাঁচাবাজারসহ অবৈধ স্থাপনা। এমনকি রেল লাইনের উপর পর্যন্ত বসছে ভাসমান এসব বাজার। আর এতে করে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও জীবন ঝুঁকি হতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে সরেজমিনে বোয়ালখালী উপজেলা সদরের রেললাইনের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিদিন দুই জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন এ লাইন দিয়ে চলাচল করে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রেললাইনের দু’পাশে অস্থায়ীভাবে বসে কাঁচাবাজার। ট্রেনের হুইসেল শোনামাত্রই ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় দৌড়ঝাঁপ।

ট্রেন চলে যাওয়ার পরপরই রেললাইন রূপ নেয় আগের অবস্থায়।রেললাইনের ওপরই গড়ে উঠেছে মাছের বাজার। মাছের ঝুড়িগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে রেললাইনের ওপরেই। প্রাণের মায়া কাটিয়েই যেন মাছ ক্রয়-বিক্রয়ে ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। চারিদিকে তুমুল হৈচৈ আর চেচামেচি। কারও দিকে কারও তাকানোর জো নেই। জীবন ঝুঁকির এই চিত্রটি একদিনের না প্রতিদিনের। রেললাইনের উপর ভাসমান বাজার বসানো কাঁচাবাজার ও মাছ বিক্রেতারা বলেন, ট্রেন আসার শব্দ শুনলেই সরে যাই।

আমাদের কাঁচামাল ,মাছ,শাকসবজি বিক্রয় করার জন্য বোয়ালখালী পৌর সদরে স্থায়ী কোন কাঁচাবাজার না থাকার কারণে রেল লাইনের দু’পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসতে হচ্ছে। বোয়ালখালী পৌর সদরে নিরাপদ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থায়ী কাঁচাবাজার নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য, বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন এবং বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়রের কাছে দাবি জানিয়েছেন কাঁচাবাজার ও মাছ ব্যবসায়ীরা।

রেললাইনে কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলেন, বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধারণ রেললাইন কাঁচাবাজারে ঝুঁকি নিয়ে বাজার করতে আসে।বোয়ালখালী উপজেলা সদরে নিরাপদ একটি স্থানে ঝুঁকিমুক্ত স্থায়ী কাঁচাবাজার থাকলে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদে বাজার করতে সমস্যা হতো না।

বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, রেললাইনের দু’পাশে ও উপরে অবৈধ কাঁচাবাজার স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কাঁচাবাজার ও মাছ ব্যবসায়ীদের জন্য উপজেলা সদরে নির্দিষ্ট জায়গায় স্থায়ী কাঁচাবাজার নির্মাণের বিষয়টি আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন,বোয়ালখালী উপজেলা সদরে কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের স্থান ছিল কিন্তু উপজেলা সদরে নতুন ভবনের অনুমোদন হওয়ার কারণে কাঁচাবাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের একটি জায়গা করে দেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে আমাদের কাজ চলমান আছে। বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ রেজাউল করিম রাজা বলেন, বোয়ালখালী উপজেলা সদরে কাঁচাবাজার না থাকার কারণে রেল লাইনের দু’পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসতে হচ্ছে তাদের।

আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব উপজেলা সদরে কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ স্থানে কাঁচাবাজার নির্মাণ করার জন্য।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by