গতকাল সোমবার সন্ধায় ভাসানচরের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মুঠোফোনে এসব কথা বলেন টেকনাফের শালবন রোহিঙ্গা নেতা হেফজুর রহমান। তিনি বলেছেন, সোমবার দ্বিতীয় দিনে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ভাসানচরে গরু, ছাগল, মুরগীর খামার ঘুরে দেখেছি। তাছাড়া ভাসানচরের চারপাশের বাঁধে হেঁটে দেখেছি। সব মিলিয়ে দুই দিন ভাসানচরে ঘুরে দেখে মনে হল, সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকারের গড়ে তোলা অবকাঠামোগুলো মজবুত ও সুন্দর। এখানে পরিদর্শনে আসা বেশিরভাগ রোহিঙ্গা নেতাদেরও পছন্দ হয়েছে।
সরকার ঘিঞ্জি শরণার্থী শিবির থেকে কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গাকে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ওই দ্বীপে পাঠানোর অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়। এজন্য রোহিঙ্গা নেতাদের একটি দলকে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় গত শনিবার টেকনাফ থেকে ভাসানচরে নিয়ে আসা হয়। প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম হয়ে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ভাসানচরে পৌঁছায়। এসময় তাদের সঙ্গে নৌবাহিনী, পুলিশসহ অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার তাদের টেকনাফের ক্যাম্পে ফিরে যাওয়া কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামসুদ্দৌজা বলেন, মঙ্গলবার ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দল ফিরে আসবেন। এরপর তারা নিজ নিজ ক্যাম্পে পৌঁছে ভাসানচরে যা দেখেছেন সেটি রোহিঙ্গাদের মাঝে তুলে ধরবেন। আমাদের বিশ্বাস ভাসানচরে যেতে রাজি করাতে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের তারা বুঝাতে সক্ষম হবেন।