বাংলাদেশ

ভোটের আগে মাঠ খালি করতে মামলা: মির্জা ফখরুল

  প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২১ , ৬:০২:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ফাইল ছবি

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সহিংসতার সঙ্গে বিএনপির কেউ জড়িত নয়। মামলার উদ্দেশ্যে হচ্ছে, বিএনপিকে হয়রানি করা। রাজনীতি থেকে দূরে রাখা। যেহেতু বিএনপি আসন্ন নির্বাচন করতে চায়, তাই নির্বাচনের পূর্বেই দলের নেতাকর্মীদের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে চায় তারা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এবার আমরা নির্বাচন নয়, সরকারের পতন নিয়ে চিন্তা করছি। এই সরকারকে চলে যেতে হবে। তাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন হতে হবে। এটাই ফাইনাল। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরে ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মন্দির ভাঙা বিষয়ে মোট মামলা হয়েছে ৬০টা। আসামি সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৬ জন। আপনারা যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন তারা ইতোমধ্যে জেনে গেছেন এই ঘটনার পেছনে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ আছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে থাকতে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ও সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে সরকার। আমাদের দলের উচ্চ পর্যায়ের টিম সরেজমিন ঘটনাস্থল দেখে এসেছেন। বরকত উল্লাহ বুলুসহ যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে তারা কেউ এর (পূজামণ্ডপের হামলার ঘটনা) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না।

তিনি বলেন, বুলুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও ১৬৪ ধারায় নির্যাতন করে যে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে-এটা একটা মিথ্যা প্রয়াস। অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার এবং প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় যে ইকবালকে পাওয়া গেছে, তা বিশ্বাসযোগ্য না এই কারণে যে, সরকারই একবার বলে উন্মাদ, ভবঘুরে, পাগল। ইকবাল যতটা না পাগল, তার চেয়ে বেশি পাগল হলো সরকার। পাগল দিয়ে যদি এমন একটা দুর্ঘটনাকে এড়িয়ে যাওয়া যায়, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর চাপিয়ে পার পাওয়া যায়, তারা সে চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সে পাগলামিটা তো বিশ্বাসযোগ্য না।

চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল ও পাটুরিয়ায় ফেরি ডুবে যাওয়ার ঘটনায় সরকারের সমালোচ

আরও খবর

Sponsered content

Powered by