বাংলাদেশ

মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২২ , ৫:৫৭:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি বাড়াতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা যদি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে খাদ্য পণ্যগুলোতে মূল্য যোগ করতে পারি তবে আমরা আমাদের দেশে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই পণ্যগুলো রপ্তানি করতেও সক্ষম হবো। এছাড়া এখন মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) নরসিংদী জেলায় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের বৃহত্তম ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) ও নরসিংদীর সার প্রকল্প প্রান্ত থেকে সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া একই অনুষ্ঠানে তিনি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) নবনির্মিত ১৪ তলা প্রধান কার্যালয় ভবনসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করায় সরকার কৃষি পণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, যেহেতু প্রযুক্তি পরিবর্তনশীল, তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযুক্ত জনশক্তি যাতে গড়ে উঠে তার ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি। বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। আমাদের কথাই ছিল ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ২০২০ সাল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি। এই সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আমরা আলোকিত করব। আমরা আজকে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক। কিন্তু শিল্পায়নও আমাদের প্রয়োজন। এটি কর্মসংস্থান ও রপ্তানি করার সুযোগ সৃষ্টি করে। পাশাপাশি আমাদের দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, যাতে আমাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয়।

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিকাশের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, খাদ্য উৎপাদনে আমরা যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছি। গবেষণার মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন ক্ষেত্রে খাদ্য, ফলমূল, তরিতরকারি, মাছ, ডিম, মাংস উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছি। এগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে আমরা যেমন বিদেশে রপ্তানি করতে সক্ষম হব, পাশাপাশি আমাদের নিজের দেশের মানুষেরও যেহেতু ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে, সেখানেও বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে।

এসময় ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা দেওয়ায় চীন ও জাপানকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নতুন এই সার কারখানায় দৈনিক ২৮০০ মেট্রিক টন ও বার্ষিক প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে ১০ শতাংশ ইউরিয়া উৎপাদন বাড়ানো হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by