দেশজুড়ে

মা-ছেলেকে অপহরণ: সিআইডির এএসআই ও কনস্টেবল বরখাস্ত

  প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২১ , ৪:৪২:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

মা-ছেলেকে অপহরণ: সিআইডির এএসআই ও কনস্টেবল বরখাস্ত

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রংপুর সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‌‘ মা-ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় এএসআই ও কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও কাগজপত্র পাইনি।’ একই ঘটনায় গ্রেফতার রংপুর সিআইডির এএসপি সরোয়ার কবীর সোহাগকে বরখাস্ত করা হয়নি। ঘটনা তদন্তে সিআইডি দিনাজপুরের পুলিশ সুপার পংকজ কুমারকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান আতাউর রহমান।

এদিকে মা ও ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় করা মামলার অন্য আসামি ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে ডিবি পুলিশ। দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নতুন করে কাউকে আটক করা হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

চিরিরবন্দর থেকে মা-ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নিতে এসে গত ২৪ আগস্ট বিকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন বাশেরহাট এলাকা থেকে সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। পরে অপহরণকারী ও ভুক্তভোগীদের দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার মূলহোতা পলাশকে আটক করে।

এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাসচালক হাবিব, নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার এনামুল হকের ছেলে ফসিহ উল আলম পলাশকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তারা আদালতের নির্দেশে কারাগারে রয়েছেন। আসামি পলাশ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া দুই ভুক্তভোগী ও দুই সাক্ষীর জবানবন্দিও গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন—চিরিরবন্দর উপজেলার আন্ধারমুহা গ্রামের মৃত এন্তাজুল হকের ছেলে আরেফিন শাহ, শহরের ৬নং উপশহর খেরপট্টি এলাকার সোহেল, সুইহারী চৌরঙ্গী বাজারের রিয়াদ, ২নং উপশহর এলাকার সুমন ও ৩নং উপশহর এলাকার জাহিদ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by