আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ার করল জান্তা সরকার

  প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৭:০৮:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

জান্তাবিরোধী স্লোগানে উত্তপ্ত ইয়াঙ্গুনের রাজপথ। সামরিক শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বৃহস্পতিবারও রাজপথে নেমে আসেন মিয়ানমারের মানুষ। দিন দিন আন্দোলনের পরিধি বাড়ছে। বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক, শিক্ষক শিক্ষার্থী, স্বাস্থ্যকর্মী, বৌদ্ধভিক্ষুসহ বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, নানা শ্রেণিপেশার মানুষের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরাও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। 

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে মুক্তি দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

দেশব্যাপী জরুরি অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার ৭৪তম ইউনিয়ন দিবস পালন করে মিয়ানমার। ১৯৪৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী নেতা সু চির বাবা অং সানের মধ্যস্থতায় আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে চুক্তি সই হয়।

ইউনিইয়ন ডে উপলক্ষে ২৩ হাজার ৩শ ১৪ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে জান্তা সরকার। দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনদের কাছে পেয়ে ইয়াঙ্গুনে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে সন্তুষ্ট করতে এবং মানবিক ও সহানুভূতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে বন্দিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন সেনা প্রধান মিন অং লাইং।

তবে জান্তাবিরোধী আন্দোলনকারীদের আবারো সতর্ক করেছেন তিনি। অং সান সুচি নেতৃত্বাধীন আন্দোলনকে বিবেকবর্জিতদের বিক্ষোভ আখ্যা দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান মিন অং লাইং।

তিনি বলেন, বিবেকহীন মানুষের উস্কানির জন্য বেসামরিক মানুষজন তাদের কাজে যোগ দিতে পারছে না। দেশের দুঃসময়েও যারা কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা কাজে যোগদান থেকে বিরত আছেন তারা দ্রুত যোগ দিন।

এদিকে, বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে নির্বাহী আদেশের অনুমোদন দেয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর হয়েছে। অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনীর ১০ শীর্ষ কর্মকর্তা ও তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন রাজস্ব দফতর।

পরিস্থিতি সহসাই স্বাভাবিক না হলে তাদের ওপর আরও বড় অর্থনৈতিক অবরোধ আসবে বলেও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by