রংপুর

মেরামত হচ্ছে না ভেঙে যাওয়া রাস্তা, সাদুল্যাপুরে ঝুঁকিতে ঘাঘট ব্রিজ

  প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২১ , ৬:১২:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

গেলো বছর ভয়াবহ বন্যার সময় ঘাঘট নদীর পানির তোড়ে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার জামুডাঙ্গা গ্রামের একটি পাকা রাস্তার বেশকিছু অংশ ভেঙে গেছে। প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও ভেঙে যাওয়া রাস্তা মেরামতের জন্য দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। এই রাস্তা দিয়ে বর্তমানে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অথচ প্রতিদিন এই রাস্তায় চলাচল করছেন দুই ইউনিয়নের আট-দশ গ্রামের মানুষ। তারা সবাই চলাচল করেন পায়ে হেঁটে। সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে এই রাস্তা পাড়ি দিয়েই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করবে অনেক শিক্ষার্থী।

এই অবস্থায় এবারের বন্যা মৌসুম শুরু হলে আরো বেশি বিপদে পড়বেন জনসাধারণ। মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকবে ঘাঘট নদীর ব্রিজ। উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে জানা গেছে, গেলো বছর বন্যায় সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৩০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর সঙ্গে গোটা উপজেলার মোট পাকা রাস্তার মাঝ থেকে ২ দশমিক ২০ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ২ কিলোমিটার পাকা রাস্তা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মাঝ থেকে বেশিরভাগেই সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।

উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ.জেড.এম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীন জানান, প্রায় এক বছর আগে বন্যায় তার ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা গ্রামের একটি রাস্তার মাঝামাঝি বেশকিছু অংশ ভেঙে গেছে। যার কারণে এই রাস্তায় ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। এলাকার মানুষ পায়ে হেঁটে হাট-বাজার যওয়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ সারছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দামোদরপুর এবং কামারপাড়া ইউনিয়নের আট-দশ গ্রামের গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। তাই ভেঙে যাওয়া রাস্তাটির দ্রæত মেরামত করা প্রয়োজন। তা না হলে আসন্ন বন্যায় এই রাস্তার ঘাঘট নদীর ব্রিজটি চরম ঝুঁকিতে থাকবে। তাই এই অবস্থায় সরকারী সহায়তা না পেয়ে ঘাঘট নদীর ব্রিজ রক্ষার জন্য আমি নিজ উদ্যোগে রাস্তা মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা প্রকৌশলী এ.এইচ.এম কামরুল হাসান রনী জানান, দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা গ্রামে ঘাঘট নদীর ব্রিজের পাশে ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি জরুরীভাবে মেরামতের জন্য সরকারী অর্থ বরাদ্দ চওয়া হয়েছে। ‘জামুডাঙ্গা ব্রিজ এপ্রোচ নির্মাণ প্রাক্কলন’ নামে ৭৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৩৮ টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দের টাকা আসলে টেন্ডারের মাধ্যমে রাস্তাটির মেরামত কাজ করা হবে। তবে কবে বরাদ্দ আসবে, আর কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে সেটি জানাতে পারেননি এই প্রকৌশলী।

জামুডাঙ্গা গ্রামের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, রাস্তার ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে দিনের আলোয় দেখে-শুনে পায়ে হেটে চলাচল করা গেলেও রাতের আঁধারে ওই স্থানে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হন। বিশেষ করে এলাকার হাটুরে জনতা বেশি দুর্ঘটনায় পরেন। রাস্তাটি মেরামতের জন্য কর্তৃপক্ষ অতিদ্রæত দৃষ্টি না দিলে আসন্ন বৃষ্টি আর বন্যা মৌসুমে আবারো চরম ভোগান্তিতে পড়বে এলাকার মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীনেওয়াজ বলেন, বন্যার সময় থেকে আমি একাধিকবার ওই রাস্তা দেখেছি। রাস্তার ব্রিজটি রক্ষার জন্য বন্যার সময় ভেঙে যাওয়া স্থানে বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। সেই সময়ে সবার প্রচেষ্টায় পুরো রাস্তা ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। কারণ ওই রাস্তা ভেফু গেলে আশপাশের মানুষের অনেক ক্ষতি হত। তাই বর্তমান শুষ্ক মৌসুমেই রাস্তাটি যাতে মেরামত করা যায় সেই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by