বাংলাদেশ

রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবেশী দেশ উৎসাহ দেয় বলে ইয়াবা আসছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৪:৪৩:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের প্রতিবেশী দেশ উৎসাহ দেয় বলে ইয়াবা আসছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার মধ্যেই প্রতিনিয়ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে মাদক। এক এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা বাড়ালে মাদক প্রবেশে ভিন্ন পথ সৃষ্টি হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোনও ড্রাগ প্রডিউসিং কান্ট্রি নয়। এর ভয়াল থাবা থেকে আমাদের প্রজন্মকে রক্ষার জন্য আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করছি। পার্শ্ববর্তী যেসব দেশ থেকে মাদক আসে সেসব দেশের সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়েও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

তিনি বলেন, আলাপ-আলোচনা করছি, বর্ডারে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাদক রোধে শুধু কোস্টগার্ড না বিজিবি ও পুলিশ সবাই সতর্ক রয়েছে। কোস্টগার্ডকে আমরা শক্তিশালী করছি। অনেকগুলো উদ্দেশ্যের মধ্যে মাদকও একটি বড় উদ্দেশ্য।

তিনি আরও বলেন, ইয়াবা কিংবা আইস ভয়ংকর ড্রাগ। এই ড্রাগ যারা সেবন করেন দুই বছরে তাদের মেধা তো যায়ই এবং সবভাবেই সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন সে সমাজের জন্য বোঝা হয়ে যায়। এজন্য বিজিবি-পুলিশ সতর্ক রয়েছে। ৪৭ হাজার কিলোমিটার আমাদের উপকূলীয় এলাকা। আমরা যখনই যে এলাকা শক্তিশালী করছি, অন্য এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। যেখানেই আমরা বাধা দেই উল্টো আরেকটা পথ সৃষ্টি করে নিচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বিজিবি বর্ডারে যখন ড্রাইভ করে তখন চলে আসে এদিকে। ইয়াবা ছোট ছোট জিনিস। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের প্রতিবেশী দেশ এদের উৎসাহ দেয়, সেজন্য ইয়াবা অহরহ আসছে। আমরা তাদের সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ে, বিজিবি-কোস্টগার্ড পর্যায়ে আমরা আলাপ-আলোচনা চালানোর পাশাপাশি বর্ডারকে শক্তিশালী করছি। বর্ডারে সেন্সর ফিট করছি, কোস্টগার্ডে আরও বোট নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যাতে করে মাদক আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোস্টগার্ডে জনবল কম ছিল। কোস্টগার্ডের একটা নীতিমালা ছিল এ রকম, বাংলাদেশ নেভি থেকে আসবে কাজ করতে। সেজন্য আমাদের সংকট ছিল। আমরা ইতালি থেকে জাহাজ এনেছি, আরও জাহাজ আসবে। সেগুলো পরিচালনা করতে যে লোকবল বর্তমানে আছে তা দিয়ে হচ্ছে না। সেজন্য আমরা আইন সংশোধন করছি, যাতে বিজিবি যেমন নিজস্ব বাহিনী তৈরি হয়েছে সেই আদলে একটি বাহিনী তৈরি হয়। পটুয়াখালীতে আমরা একটা একাডেমি করেছি, নতুন যারা আসবে তাদের ট্রেনিংয়ের জন্য।

কোস্টগার্ডকে আরও সমৃদ্ধ, যুগোপযোগী ও আরও নির্ভরযোগ্য করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিচ্ছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কোস্টগার্ড কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উপকূলে প্রায়সই পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা এসে শিকার করে নিয়ে যেত। এখন সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে, ধীরে ধীরে কোস্টগার্ড ‘গার্ডিয়ান অ্যাট সি’তে পরিণত হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by