শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলায় নজর পাপনের

নতুন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন আজ পাঁচটি ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিবর্তে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয় শেষ মুহূর্তে। পাচ ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া চর্চার আহ্বান জানান। দেশের স্কুল,  কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়সহ সকল   শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রীড়া চর্চা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নতুন ক্রীড়া মন্ত্রী।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলার গুরুত্ব আরোপের বিষয়ে ব্যাখাও দিয়েছেন নতুন মন্ত্রী, ‌’দেশের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই খেলাধুলার মাঠ রয়েছে। যদি দাবা বা এথলেটিক্স এর কথা বলি, এটিতে স্কুল পর্যায়েই সব থেকে বেশি চর্চা বা বিকশিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখান থেকে যারা ভালো করতো, তারা পরবর্তীতে জেলা, বিভাগ পার করে জাতীয় পর্যায়েও খেলার সুযোগ পেতো। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মাঝে খেলার চর্চাটা কমে গেছে। এ কারণে জাতীয় পর্যায়ে আগের মতো ভালো খেলোয়াড় উঠে আসছে না।   শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি বেশি বেশি খেলাধুলা চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।’

সপ্তাহ দু’য়েক আগে নতুন মন্ত্রী আটটি ফেডারেশনের সঙ্গে এক সাথে এবং পরবর্তীতে ফুটবল ও হকির সাথে আলাদাভাবে বসেছিলেন। আজ ব্যাডমিন্টন, দাবা, হ্যান্ডবল, জিমন্যাস্টিক্স ও কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা তাদের সাফল্যের পাশাপাশি সীমাবদ্ধতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহাবউদ্দিন শামীম বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা জায়গা। সেই বিষয়টি বলেছি।’ জিমন্যাস্টিক্সের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জামিলেরও একই সমস্যা, ‘আমাদের খেলা আয়োজনের পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এজন্য অনেক সরঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ছে। আমরা জায়গার বিষয়টি বেশি করে উপস্থাপন করেছি।’

পাচ ফেডারেশনের সমস্যা শুনলেও এখনই সমাধানের আশ্বাস সেভাবে দেননি মন্ত্রী। তিনি একটি অগ্রাধিকারের তালিকা করার কথাই বলেছেন, ‘সব খেলাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পারফরম্যান্স ও সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে আমরা অগ্রাধিকার লিস্ট তৈরি করবো। তারপর আমার একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবো।’

ক্রীড়াকে এগিয়ে নিতে স্পন্সর সংগ্রহ ও বৃদ্ধির বিষয়ে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার সাথেও বসবেন নতুন মন্ত্রী। গত পরশু দিন শুটিং ফেডারেশনে এগিয়েছিলেন সামনে বিভিন্ন ফেডারেশনে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রকৃত অবস্থা জানার চেষ্টা করবেন। খেলাধূলার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রীর। 

ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে প্রায় দুই ঘন্টার সভায় ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের পক্ষে প্রধান তথ্য কমিশনার ও সভাপতি ডক্টর আব্দুল মালেক, দাবা ফেডারেশনের পক্ষে সভাপতি ও সাবেক আইজিপি ডক্টর বেনজির আহমেদ, জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের পক্ষে শেখ বশির আহমেদ মামুন, হ্যান্ডবল ফেডারেশনের পক্ষে সভাপতি এ.কে.এম নুরুল ফজল বুলবুল এবং কাবাডি ফেডারেশনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেট্টোপলিটন কমিশনার হাবিবুর রহমান বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সভায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।