প্রতিনিধি ৩১ অক্টোবর ২০২২ , ৬:৩৫:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী ব্যুরো :
শীতকে কেন্দ্রে করে রাজশাহীতে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের। তারা প্রতিদিনই তৈরি করছেন নতুন নতুন লেপ-তোষক ও জাজিম। তবে তুলনামূলক কম কেনাবেচা হচ্ছে। গতকাল সোমবার বিকেলে মহানগরীর গণকপাড়ার তুলাপট্টির দোকানগুলোতে কারিগরদের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বিক্রেতারা বলছেন, শীত এখনও আসেনি। সন্ধ্যা ও শেষ রাতের দিকে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। এখনও বিক্রি জমে উঠেনি। শীত বাড়লে বিক্রি বাড়বে।
দোকানিরা আশা করছেন- আগামি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের তুলায় ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তাতে বেড়েছে লেপ ও তোষক তৈরির খরচও।
এবার কার্পাস তুলায় প্রতি ডবল লেপ তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১৪ শ থেকে ১৬ শ টাকা এবং সিঙ্গেল লেপ তৈরিতে ৮ শ থেকে ১ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান দোকান ও ক্রেতারা। মহানগরীর গণকপাড়া মোড়ের দোকানগুলোতে লেপ বানানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের তুলা রাখা হয়েছে। শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় লেপ বানানোর জন্য আগাম এ প্রস্তুতি রেখেছেন দোকানিরা। কারিগররা তাদের অর্ডার মোতাবেক লেপ সেলাইয়ের কাজ শুরু করে। এছাড়া, দোকানগুলোতে রেডিমেড লেপ বিক্রয় করা হচ্ছে।
লেপ ক্রেতা সালমা ইসলাম জানান, গত বছরই লেপ কেনার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু কেনা হয়নি। এ বছর না কিনলেই নয়। তবে গতবছর না কিনে ভুল করেছি। এ বছর একটু বেশি দাম বলছে।
আরেক ক্রেতা জানান, শীত বেশি পড়তে শুরু করলে দাম বাড়বে। তাই আগেই অর্ডার দিলাম। এখনও দোকানগুলোতে ভীড় কম। তিনি বলেন, রাজশাহীতে এমনিতেই বেশি শীত পড়ে। দীর্ঘদিন ঢাকা থেকেছি। স্বামীর কাজের সুবাদে রাজশাহীতে তিনবছর ধরে আছি। রাজশাহীতে গরমের সময় বেশি গরম; আর শীতের সময় বেশি শীত করে।
বিসমিল্লাহ তুলা ঘরের বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, লেপ তৈরিতে লাল মার্কিন সুতি কাপড়, থান কাপড় ব্যবহার, কার্পাস তুলা, সাদা মিডিয়াম মোটা ঝিল সুতা, বড় এবং মাঝারি সুই। এছাড়া, ফাইবার তুলা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, কার্পাস তুলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, গার্মেন্সের তুলা ২৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দের বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, তুলা ছাড়া একটি ডাবল লেপে কাপড় লাগে ১০ গজ। এই কাপড় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা গজ। আর কাজের হিসেবে নতুনের চেয়ে পুরানো লেপ ও তোষকের মজুরি বেশি। ডাবল নতুন লেপে ৩৫০ টাকা ও পুরানো লেপে ৪০০ টাকা। সিঙ্গেল লেপ নতুনে মজুরি ৩০০ টাকা ও পুরানো লেপে ৩৫০ টাকা। এছাড়া, জাজিম ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ওই বিক্রেতা।