রাজধানী

সমঝোতায় রাজি দুই শিশুর বাবা-মা

  প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২১ , ৪:২৪:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে উচ্চ আদালতে লড়ছেন জাপানি নারী নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি-আমেরিকান ইমরান শরীফ। আগামী ৩১ আগস্ট মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করা আছে। তবে এর আগেই পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সমঝোতা করতে রাজি হয়েছেন তাঁরা।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও থানার ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নাকানো এরিকোর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফও একই কথা বলেছেন।

দুই শিশুর জিম্মার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে সমঝোতায় পৌঁছাতে দুই পক্ষের মধ্যেই আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিশির মনির। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের পারিবারিক মামলার ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ার চেয়ে সামাজিক-পারিবারিক সমঝোতায় সমাধান হওয়ার সংখ্যাই বেশি। তাই আইনি প্রক্রিয়ার বাইরেও যেকোনো উপায়ে সমঝোতায় পৌছাতে আমরা রাজি আছি।’

দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফ জানান, দুই শিশুর জন্য অতিদ্রুত সমাধানে পৌঁছাতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েরা এখানে ভালো নেই। এখানকার খাবার তারা খেতে পারছে না। এমন জায়গায় তারা কখনো থাকেনি। তাদের কথা চিন্তা করে পারিবারিক-সামাজিক উপায়ে সমস্যার সমাধান হলে তাতেও আমার সর্বোচ্চ সমর্থন থাকবে।’

শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে পারিবারিক ভাবে সমঝোতা করতে রাজি হয়েছেন উভয়পক্ষই নাকানো এরিকো (৪৬) পেশায় একজন চিকিৎসক। এরিকোর সঙ্গে ২০০৮ সালে বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিক ইমরানের (৫৮) বিয়ে হয়। জাপানি আইন অনুযায়ী বিয়ের পর তাঁরা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের তিনটি সন্তান—জেসমিন মালিকা (১১), মাকানো লাইলা লিনা (৯) ও সানিয়া হেনা (৬)। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি শরীফ ইমরান তাঁর দুই কন্যা জেসমিন মালিকা ও মাকানো লাইলা লিনাকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। গত ১৮ জুলাই নাকানো এরিকোও তাঁর সন্তানদের জাপানে ফিরিয়ে নিতে ঢাকায় আসেন।

শরীফ ইমরানের দাবি, স্ত্রী তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি দুজনকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।