রাজধানী

চেনা রূপে রাজধানী ঢাকা

  প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২১ , ৪:৩২:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

বাসের সহকারীর পরিচিত গন্তব্যের নাম ধরে হাঁকডাক, দুই বাসের পাল্লাপাল্লি, ট্রাফিক সিগন্যালে অপেক্ষা, ফুটপাতজুড়ে অফিসগামী মানুষের হেঁটে চলা, গণপরিবহনের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা; সব মিলিয়ে চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী ঢাকা।

টানা ১৯দিন পর শিথিল হলো বিধিনিষেধ। বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। চালু হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। তবে ঈদ উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়। পরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। যা বুধবার সকাল থেকে শিথিল করা হয়।

dhakapost

বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিধিনেষেধের আগে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রাজধানীতে তুলনামূলক কম সংখ্যক বাস চলাচল করছে। তবে একই রুটের আরেকটি বাসের সঙ্গে পাল্লাপাল্লি নিয়ে সড়কে চলছে প্রতিযোগিতা। আবার নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কে অর্ধেক সংখ্যক বাস চলাচল করায় সকালে গণপরিবহন সংকটে পড়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া সড়কে ব্যাপক সংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলাচল করতে দেখা গেছে।

রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় কথা হয় সাজ্জাদ হোসেন নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিধিনিষিধের মধ্যে বেশ কিছু চাকরিজীবীর হোম অফিস ছিল। যাদের সশরীরে অফিস করতে হয়েছে তারা বিভিন্নভাবে অফিসে পৌঁছেছে। কিন্তু আজ থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কারণে সবাই অফিসে যাওয়ার জন্য সকাল সকাল বের হয়েছে। কিন্তু গণপরিবহন অর্ধেক চালুর কারণে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

dhakapost

এই সড়কে চলাচলকারী ভিক্টর ক্ল্যাসিক নামের একটি বাসের চালক মনোয়ার হোসেন বলেন, সড়কে মানুষের সংখ্যা বেশি। কিন্তু নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক বাস চলাচল করছে। এতে করে যাত্রীরা গণপরিবহনে সংকটে ভুগছে। অনেক বাসের গেট লাগানো তাই যাত্রীরাও গাড়িতে উঠতে পারছে না। সব কিছু খুলে দিয়ে অর্ধেক বাস চালুর সিদ্ধান্তের কারণ কী, এটা আমরা জানি না।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে বিধিনিষেধ শিথিল কার্যকর হয়েছে। যার ফলে বুধবার সকাল থেকে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে। শিল্প-কারখানা চালু থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by