বাংলাদেশ

সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা, রাজশাহীতে ১৯ এপ্রিল

  প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:০৩:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা, রাজশাহীতে ১৯ এপ্রিল
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সকল পর্যায়ের নাগরিকদের জন্য চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির (স্কিম) আওতা বৃদ্ধি করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মানুষের মনের শঙ্কা দূর করতে ও সব শ্রেণির মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৮ বিভাগে ও ৬৪ জেলায় সর্বজনীন পেনশন মেলা করা হবে।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগে প্রথমবারের মতো মেলার আয়োজন করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে রাজশাহী বিভাগের প্রশাসন।

আগামী ১৯ এপ্রিল রাজশাহী নগরীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া মেলাটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। মেলায় মোট ৭০টির মতো বুথ থাকবে। মেলার স্টলগুলোতে সর্বসাধারণের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সরাসরি রেজিস্ট্রেশন ও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অর্থ জমাদানের সুযোগ থাকবে। আর্থিক লেনদেনের জন্য সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী, সিটি ও ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ থাকছে।

মেলায় রাজশাহীর ৯টি উপজেলারও পৃথক পৃথক বুথ রাখা হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো-গোদাগাড়ী উপজেলা, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট, পবা ও পুঠিয়া উপজেলা। উপজেলার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে উপজেলা নির্বাহীর অফিসের নেতৃত্ব একটি বিশেষ টিম। এছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও সামাজিক বিভিন্ন সংস্থাগুলো অংশগ্রহণ করবে। সঙ্গে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা তার প্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যাতে সব স্তরের জনগণ মেলায় এসে সর্বজনীন পেনশনের সুবিধাগুলো সরাসরি জানতে পারে। থাকবে কর্মশালা ও উন্মুক্ত আলোচনা।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্যানুসারে ৯ মাসে চারটি স্কিমে নিবন্ধন নিয়ে যুক্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৪৭ জন ব্যক্তি। সর্বস্তরের জনগণের সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে শুরু করা পেনশন স্কিমগুলোতে সকলের অংশগ্রহণ আরো বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েই মূলত এমন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

মেলার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ মূল আয়োজক। তবে সার্বিক আয়োজনের দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন। এই কারণ আমরা বলছি যৌথ আয়োজন। কারণ রাজশাহীর পরিবেশ-পরিস্থিতি, লজিস্টিক সহায়তা এবং সব কর্মচারীর অংশগ্রহণ তারা নিশ্চিত করবে তারা। এখন পর্যন্ত পেনশন স্কিমে যুক্ত হয়েছেন ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ। যেভাবে মানুষ অংশ নিচ্ছে খুব শিগগিরই ওই সংখ্যা লাখে চলে যাবে। মাঝখানে কিছুদিন ধীরগতি ছিল, এখন মানুষের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ বেড়েছে। আশা করি গতি অব্যাহত থাকবে। গতি অব্যাহত রাখার একটি অংশ হিসাবেই মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পেনশন কর্মসূচির বিষয়ে একটি জাতীয় কমিটি হয়েছে। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিটি, জেলা কমিটি এবং উপজেলা কমিটি হয়েছে। এখন জাতীয় কমিটি বিভাগীয় কমিটির কাছে যাচ্ছে পেনশন কর্মসূচির বিষয়ে একসাথে কাজ করার জন্য। এর মানে হচ্ছে সব পর্যায় থেকে একযোগে কর্মসূচিকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ। যেখানে থাকছে- মাঠ প্রশাসন, জন প্রশাসন, লোকাল এলিট শ্রেণি ও সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃত্ব। যারা একটি প্লাটফর্মে এসে মিলেমিশে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by