দেশজুড়ে

স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণ সীতাকুন্ডুতে, নিহত বেড়ে ৫২ (আপডেট)

  প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২২ , ৩:৫২:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

সীতাকুণ্ড মৃত্যুপুরী, স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৪২

স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ বাতাস

কামরুল ইসলাম দুলু. সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম):

মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালজুড়ে স্বজনদের আহাজারি। ভারী হয়ে উঠেছে এখানকার বাতাস। কেউ এসেছেন স্বজনের খোঁজে, আবার কেউ মরদেহ শনাক্তে ব্যস্ত। রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে ফায়ার ফাইটারসহ ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়ে চমেকে ভর্তি রয়েছেন ১২৫ জন। অন্যান্য হাসপাতালে আরও শতাধিক চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর রাত থেকে আমরা এখানে কাজ করছি। লাশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মালিকপক্ষের কাউকে পাচ্ছি না। মালিকদের কাউকে পেলে আমরা জানতে পারতাম কোন কনটেইনারে কী আছে। এটা আমাদের জানা নেই। এ জন্য উদ্ধার কাজে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। মহাপরিচালক বলেন, আমরা এখনো ভেতরে পুরোপুরি প্রবেশ করতে পারছি না।

সীতাকুণ্ড মৃত্যুপুরী, স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৪২

এ ঘটনায় ফায়ারের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যে কমিটি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার সেকশনের বিশেষ টিম কাজ করছে। কনটেইনারগুলোতে যেহেতু কেমিক্যাল সেজন্য ঢাকা থেকে ফায়ারের ২০ সদস্যের হেজবোর্ড টিম আনা হচ্ছে। তারা বিদেশ থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুরস্থ বিএম কন্টেইনার ডিপুতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় আশ পাশের প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার বিকট শব্দে কম্পিত হয়।

বহু মানুষের বাড়ি ঘরের জানালার গ্লাস ভেঙে যায় বলে জানা যায়। আগুন নেভাতে প্রথমে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করার পর থেকে অন্তত ২৫ টি ইউনিট কাজ করে।  ৫জন ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান নিহত হয়। শনিবার রাত ১০ টায় লাগা আগুন রবিবার দুপুর একটাও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভাবে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনী আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে। নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বাঁশখালীর মমিনুল হক (২৪), মো. মহিউদ্দীন (২৪), ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬) ও বাঁশখালীর রবিউল আলম (১৯)। এ ঘটনায় অন্তত দুই শাতধিক আহত হয়েছেন। আগুনে দগ্ধদের চমেকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by