আইন-আদালত

স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা: দিহানের বিচার শুরু

  প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৫:১৬:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আর এর মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ অভিযোগ গঠন করেন।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. খালেদ সাইফুল্লাহ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।

গত বছরের ৮ জানুয়ারি আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৭ জানুয়ারি রাতে এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফারদিন ইফতেখার দিহান ৭ জানুয়ারি দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে স্কুলছাত্রীকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর কলাবাগানের ফাঁকা বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। তখন বিবাদী দিহান ধর্ষণের বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যায়। সেখানে ভিকটিমের মৃত্যু হয়।

আসামি দিহান দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তাদের বাসায় গিয়েছিল। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছান। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগানে ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য আসামি নিজেই ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

সংবাদ পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত হাসপাতালে যায়। খবর পেয়ে মেয়েটির তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে। পরে চারজনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ পরে স্কুলছাত্রীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামি দিহানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আসামির বিরুদ্ধে ওই আইনের একই ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো- উল্লেখ করা হয় চার্জশিটে।

চার্জশিটে মোট সাক্ষী করা হয় ৫৫ জনকে।

Powered by