প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৭:৫৭:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
সংবাদ সম্মেলন করে দলটি বলছে, একটি সাংবিধানিক পদের অধিকারীকে দলীয় পদে নিযুক্ত করা দেশের ইতিহাসে একটি নতুন ঘটনা ও এটি অত্যন্ত মন্দ দৃষ্টান্ত।
বিএনপির ভাষ্য, এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার কার্যালয়কে দলীয়করণের আওতায় আনার অপচেষ্টার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে। গত শুক্রবার দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলোচনা ও সিদ্ধান্তের বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, বিএনপি দৃঢ়ভাবে মনে করে, দেশের বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার পদের নিরপেক্ষতা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলের উচিত- হয় দলীয় পদ কিংবা অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করা।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বেগম জিয়া খুবই অসুস্থ, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার দরকার হতে পারে। তবে সরকারের বিধি নিষেধের কারণে তা সম্ভব নয়। বেগম জিয়ার মৌলিক অধিকার রক্ষার স্বার্থেই তার ওপর থেকে সব ধরনের বিধি নিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
নড়াইলের আদালতে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টিকে ‘অমানবিক ও অস্বাভাবিক’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। নজরুল ইসলাম খান লিখিত বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বেগম জিয়া যখন চিকিৎসার জন্য ঘরের বাইরে যেতেও অক্ষম, তখন তার বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতে হাজির হওয়ার নিষ্ঠুর আদেশ জারির সংবাদে সঙ্গতভাবেই দেশবাসী বিষ্মিত ও ক্ষুব্ধ।’