প্রতিনিধি ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:৪০:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক:
স্বামী-সন্তানসহ ‘বন্দিজীবন’ কাটাচ্ছেন কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার সেই নারী পর্যটক। সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টের একটি ভবনে গত চারদিন ধরে আটকে আছেন তারা। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের দাবি, তাদের ‘বন্দী’ করে রাখা হয়নি, নিরাপত্তার জন্য তাদের সেখানে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না তাদের। কারণ জানতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন- তাদের সঙ্গে কথা বলতে সময় লাগবে। একসঙ্গে কয়েকজন সাংবাদিকের সামনে তাদের আনার চিন্তাভাবনা চলছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে করলে তারা (ওই নারী ও তার স্বামী-সন্তান) চলে যেতে পারেন। আমাদের দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
মোবাইল ফোনে কথা হলে ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন- ঘটনার পর থেকে তাদের তিনজনের গোসল হয়নি। ঠিকমতো ঘুম, খাওয়া-দাওয়াও হচ্ছে না। কোলের শিশুটি অসুস্থ। কিন্তু নিরাপত্তার কথা বলে তাদের ছাড়া হচ্ছে না। এ সময় বাড়ি ফিরে যেতে আকুতি জানান তিনি।
গত ২২ ডিসেম্বর স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ওই নারীকে তুলে নিয়ে দুই দফা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় সন্ত্রাসী আশিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। পরের দিন ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা জয় (২৮) ও রিয়াজ উদ্দিন ওরফে ছোটন (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ রোববার তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে তারা কেউ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার রেজাউল করিম সাহাবুদ্দিন (২৫), চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবুনিয়ার মামুনুর রশিদ (২৮) ও পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২৫)।