বাংলাদেশ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সুশৃঙ্খল-স্মার্ট সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে

  প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৭:২৩:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সুশৃঙ্খল-স্মার্ট সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে সুশৃঙ্খল ও স্মার্ট সৈনিক হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।

তিনি আজ (বুধবার) সকালে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ দরবারে সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।

মহাপরিচালক বলেন, আজ বাহিনীর সকল সদস্যের জন্য একটি বিশেষ দিন। গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যমণ্ডিত এই বাহিনী আজ ২২৯ বছরে পদার্পণ করল। 

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে এ বাহিনী ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা এবং সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান রোধ, নারী-শিশু ও মাদক পাচার রোধসহ যেকোনো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। স্বাধীনতার পর দেশগঠন এবং দেশ মাতৃকার সেবায় এ বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ যেকোনো দুর্যোগময় মুহূর্তে জনগণের সেবায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের স্থানীয় ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশ্বস্ততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে বিজিবি আজ দেশবাসীর আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ পৃষ্ঠপোষকতা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় বিজিবি আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল, পেশাদার ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। 

মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বিজিবির প্রতিটি সদস্য সুশৃঙ্খল ও স্মার্ট সৈনিক হিসেবে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে, আজকের দিনে এটাই প্রত্যাশা।

এর আগে, যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজিবি দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী ফজরের নামাজের পর পিলখানাসহ সারাদেশে বিজিবি’র সকল ইউনিটের মসজিদে বিজিবির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর সকাল সাড়ে ৬টায় মহাপরিচালকের সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পিলখানায় ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিজিবি মহাপরিচালক। এরপর বেলা পৌনে ১১টায় পিলখানার সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি সদস্যদের বিশেষ দরবার গ্রহণ করেন। 

উল্লেখ্য, আজ সকালে বিজিবি দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বিজিবি মহাপরিচালক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিজিবি মহাপরিচালকসহ বাহিনীর সকল সদস্যকে বিজিবি দিবস উপলক্ষ্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারা দেশে বিজিবির বিভিন্ন স্থাপনায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে যশোরের বেনাপোল, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপিতে বিজিবি-বিএসএফ জমকালো ‘জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by