বাংলাদেশ

১৬৪ অবৈধ হাসপাতাল-ক্লি‌নিক বন্ধ করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৭:৫৫:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

১৬৪ অবৈধ হাসপাতাল-ক্লি‌নিক বন্ধ করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

চল‌তি বছর দেশজুড়ে চলমান অভিযানে ১৬৪টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সময় জরিমানা করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৬ জনকে। 

আজ মঙ্গলবার (২৬সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্ত‌রের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের নিবন্ধনহীন অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এ অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৮৩টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে।

এদিকে রাজধানীতে মঙ্গলবারও অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ অভিযানে রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডের ডিপিআরসি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

সং‌শ্লিষ্টরা জানান, চিকিৎসক না হয়েও ওই হাসপাতা‌লে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন শফিউল্লাহ প্রধান না‌মে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট। নিজেই গড়ে তো‌লেন ডিপিআরসি নামে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। ফিজিওথেরাপিস্ট হয়েও দিয়ে আসছিলেন নিয়মিত চিকিৎসা। রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা না থাকলেও মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার করে নিয়মিত চিকিৎসা করে আসছিলেন তিনি। 

এমন অপচিকিৎসার শিকার হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযোগ দেন একাধিক ভুক্তভোগী। যা আমলে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তিন ঘণ্টার বেশি অভিযানে বের হয়ে আসে নানা অনিয়মের চিত্র। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্ত‌রের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি টিম এ অভিযানে অংশ নেয়। অন্যান্য সদস্যের মধ্যে ছিলেন উপ-পরিচালক ডা. শেখ দাউদ আদনান, সহকারী পরিচালক ডা. মো. বিল্লাল হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সালেহিসহ আরও তিন অতিরিক্ত পরিচালক।

এ ব্যাপারে ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, অপ্রয়োজনে রোগী ভর্তি, চিকিৎসক না থাকায় ডিপিআরসি হসপিটাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে চলমান অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।  

এদিকে রাজধানীর বনানী এলাকার প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট লিমিটেড ও ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মালিকপক্ষের অভিযোগকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যই তারা মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য উপস্থাপন করছে।

এতে আরও বলা হয়, সর্বপ্রথম গত ১৮ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শন দল প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনকালে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন অমান্য, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মাধ্যমে জনগণের হয়রানি, মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট এবং অদক্ষ জনবলের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ এবং লাইসেন্স স্থগিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by