প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২০ , ৮:৩৭:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : বাদাম চাষ করে এবার সুবিধা করতে পারেনি চাষিরা। অসময়ে বৃষ্টি আর আকস্মিক বন্যায় বাদাম নিয়ে ভোগান্তির যেন শেষ নেই চাষিদের।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার বুড়িডাঙ্গি, চর ইচলি, শংকরদহ, গান্নারপার, ছালাপাক, রাজবল্লভসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এবার বাদাম বুনেছে কৃষকরা। মাটির নিচে সোনা নামে পরিচিত এই বাদাম চাষে পরিশ্রমের তুলনায় মুনাফা বেশি হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। তবে এবছর লোকসান গুনতে হবে বাদাম চাষিদের। বোরো ধানের বিকল্প ফসল হিসেবে চরের পতিত জমিতে বাদাম চাষ হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, পানির নিচ থেকে বাদাম তুলে এনে কৃষকরা ঝেড়ে আলাদা করছে কাঁদা মাখা বাদাম। রোদ না থাকায় বাদাম পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা করছে তারা। মহিপুর গ্রামের বাদাম চাষি আব্দুর রহমান বলেন, কোনবার বাদাম নিয়া এতো মাথা কাচাল করা লাগে নাই, পানির জন্যে বাধ্য হয়া ১০ দিন আগোত বাদাম তোলা নাগিল।
আগাম উত্তোলন করায় দানা পুষ্ট হয়নি বাদামের। ফলে আশানুরূপ দাম থেকে বি ত হবে কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় ২১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। যা অধিকাংশ তিস্তার গা ঘেঁষে বিভিন্ন চরের পতিত জমিতে আবাদ করা হয়েছে।