আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে নিহত সাংবাদিক দানিশের চোখে আমাদের পৃথিবী

  প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২১ , ৫:০৮:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে তখন। তারই মধ্যে অস্ত্র হাতে দানিশ সিদ্দিকীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন এক ব্যক্তি।

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

তিনি চলে গেলেও রয়ে গেছে তার তোলা ছবিগুলো, তার হয়ে মানুষকে জানান দিচ্ছে মানবিক অনুভূতির নানা রঙ।
মুম্বাইয়ের ছেলে দানিশ সিদ্দিকী জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন টেলিভিশন সাংবাদিক হিসেবে। পরে ২০১০ সালে তিনি রয়টার্সে যোগ দেন শিক্ষানবীশ আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে। তারপর ১১টি বছর তিনি ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেরিয়েছেন নানা দেশে, বিশ্বকে দিয়েছেন খবরের ছবি। ৪০ বছর বয়সে তার সেই অভিযাত্রা থেমে গেল আফগানিস্তানের কান্দাহারে।

মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের শাহ পরীর দ্বীপে পৌঁছেছেন ক্লান্ত এক রোহিঙ্গা শরণার্থী। এ ছবির জন্যই ২০১৮ সালে পুলিৎজার পান দানিশ সিদ্দিকী। আগস্ট, ২০১৭। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

পুলিৎজার বিজয়ী রয়টার্সের ফটোসাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকী, দায়িত্ব পালনরত অবস্থাতেই মারা যান তিনি। সে সময় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবানের সংঘর্ষের ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ সপ্তাহের শুরু থেকেই এ কাজে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আফগানিস্তানের কান্দাহারে অবস্থান করছিলেন তিনি।

২০১৮ সালে রোহিঙ্গা সংকটের ছবি তুলে পুলিৎজার জেতেন তিনি ও তার দল। শুধু যুদ্ধক্ষেত্র নয়, রাজনীতি, খেলার মাঠ, ব্যবসা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই বিস্তৃত তার কাজের পরিধি। আফগানিস্তান ও যুদ্ধ ছাড়াও হংকং ও তার নিজের দেশ ভারতের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময়ও ক্যামেরা হাতে ছুটে গেছেন তিনি।

দানিশ সিদ্দিকী।

দানিশ একবার বলেছিলেন, ব্রেকিং স্টোরি জন্ম নেওয়ার মুহূর্তে মানুষের মুখাবয়বের স্থিরচিত্র ধারণ করার কাজটিই তার সবচেয়ে পছন্দের। তার কাজেও এর প্রমাণ মেলে। ছবি শুধু আবেগ উদ্রেককারী নয়, ছবিও কথা বলে- তার তোলা ছবি দেখলেই কথাটির মর্ম বোঝা যায়।  ভারত থেকে শুরু করে উত্তর কোরিয়া- তার ক্যামেরায় বন্দি করেছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানবিক অনুভূতি।

তিনি চলে গেলেও রয়ে গেছে তার তোলা ছবিগুলো, তার হয়ে মানুষকে জানান দিচ্ছে মানবিক অনুভূতির নানা রঙ।

হংকংয়ে সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট আয়োজিত মানবাধিকার দিবস মার্চ চলাকালীন গাই ফোকসের মুখোশ পরিহিত একজন বিক্ষোভকারী। ৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় আফগান স্পেশাল ফোর্সের এক সদস্য হাম্ভি চালাচ্ছেন। ১১ জুলাই, ২০২১। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

মুম্বাইয়ে একটি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় রেসলিং সেন্টারে কাদামাটিতে কেউ বিশ্রাম নিচ্ছেন, কেউ অনুশীলন করছেন। ৪ মার্চ, ২০১৪। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসীর মুক্তি ভবনে (স্যালভেশন হাউজ) সন্ধ্যায় প্রার্থনার সময় পুরোহিতদের কথা শুনছেন পৃষ্ঠপোষকদের স্বজনরা। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

মুম্বাইয়ের রাস্তায় ফুটপাথে হ্যামক টানিয়ে শুয়ে আছে ৩ বছর বয়সী এক পথশিশু। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

পূর্বে ভারতের ইলাহাবাদ নামে পরিচিত প্রয়াগরাজের কুম্ভ মেলার সময় তার শিবিরের ভেতরে ভক্তদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এক নাগা সাধু। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

মুম্বাইয়ের এক সৈকতের দৃশ্য। ১২ জুলাই, ২০১৮। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

মুম্বাইয়ে আরব সাগরের তীরে এক ব্যক্তি গাঙচিলদের খাওয়াচ্ছেন। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়াংয়ের একটি চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখার সময় একজন সৈনিকের আইসক্রিম খাওয়ার দৃশ্য। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

দিল্লির এক শ্মশানে কোভিড -১৯-এ মৃত ব্যক্তিদের সৎকারের জন্য মানুষের অপেক্ষা। ২৩ এপ্রিল, ২০২১। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে তালেবানের বিরুদ্ধে এক কমব্যাট মিশনের সময় ঘরের বাইরে পাহারা দিচ্ছেন আফগান স্পেশাল ফোর্সের একজন সদস্য। (ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

মুম্বাইয়ে একটি লেকের পাশে হ্যামকের ওপর ঘুমোচ্ছে ১১ মাস বয়সী সখিনা। ২১ মার্চ, ২০১৭। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

ভারতের দেবপ্রয়াগের গঙ্গা নদীর তীরে সন্ধ্যার সময় প্রার্থনারত হিন্দু পুরোহিত। ২৮ মার্চ, ২০১৭। ছবি: দানিশ সিদ্দিকী/রয়টার্স

আরও খবর

Sponsered content

Powered by