আন্তর্জাতিক

ইউরোপে করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য : ডব্লিউএইচও

  প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২১ , ৪:৪৯:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

‌‘১০ সপ্তাহ ধরে ইউরোপজুড়ে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের যে নিম্নমুখী গতি ছিল, তার অবসান ঘটছে। ইউরোপের নাগরিক এবং আইনপ্রণেতারা যদি সুশৃঙ্খল না থাকেন তাহলে করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ অনিবার্য।’ বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপের প্রধান হ্যান ক্লুগে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সতর্কবাতা দিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, অবাধ চলাফেরা, ভ্রমণ, জনসমাগম এবং সামাজিক বিধি-নিষেধ শিথিলের কারণে গত সপ্তাহে ইউরোপজুড়ে করোনার নতুন সংক্রমণ প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

হ্যান ক্লুগে বলেছেন, দ্রুত বদলে যাওয়ার পরিস্থিতির কারণে করোনার সংক্রমণের এই নতুন উত্থান দেখা যাচ্ছে। করোনার নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এই অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চমৎকার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও লাখ লাখ মানুষ এখনও টিকা পাননি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ না হলে ইউরোপীয় অঞ্চলে করোনার নতুন আরেকটি ঢেউ আসবে।

 

ডেল্টা ছড়িয়েছে ১০০ দেশে

এদিকে, ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখন পর্যন্ত প্রায় একশ দেশে ছড়িয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলছে, আগামী মাসগুলোতে করোনার অতিসংক্রামক এই ধরন বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করবে।

সাপ্তাহিক হালনাগাদ তথ্যে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ‘গত ২৯ পর্যন্ত বিশ্বের ৯৬টি দেশে ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। তবে নতুন ধরন শনাক্তে সিকোয়েন্সিং ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো অনেক দেশে ছড়ালেও তা জানা যায়নি।’

করোনার নতুন এই ধরনটি যেসব দেশে শনাক্ত হয়েছে সেসব দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে জানিয়ে সংস্থাটি আরও বলেছে, এতে করে এসব দেশে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর সঙ্গে বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা।

ডেল্টা ধরনের অতিমাত্রায় সংক্রমিত করার সক্ষমতার বিষয়টির কথা জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ধারণা করা হচ্ছে এই ধরন তার বৈশিষ্টের কারণে অন্য ধরনগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে এবং আগামী মাসগুলোয় আধিপত্য বিস্তার করবে বিশ্বে।’

ডব্লিউএইচও বলছে, আলফা (প্রথম শনাক্ত হয় ব্রিটেনে) ধরন ১৭২টি দেশে, বেটা (প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়) ১২০টি দেশে, ডেল্টা (প্রথম শনাক্ত হয় ভারতে) ৯৬টি দেশে এবং গামা (প্রথম শনাক্ত হয় ব্রাজিলে) ধরন ৭২ দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by