আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

  প্রতিনিধি ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৭:০৪:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশ। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে আচেহ প্রদেশে ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলেছে, ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি আচেহ প্রদেশের উপকূলীয় শহর সিনাবাং থেকে ৩৬২ কিলোমিটার (২২৫ মাইল) পূর্বে উৎপত্তি হয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হওয়ায় আচেহতে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং ভূপদার্থবিজ্ঞান সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পের কারণে সেখানে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। তবে ভূমিকম্প পরবর্তী আফটারশকের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি। দেশটির এই সংস্থা বলেছে, আচেহ প্রদেশে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৩ ছিল। ভূমিকম্পের মাত্রার প্রাথমিক পরিমাপে তারতম্য স্বাভাবিক।

২৭ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া বিস্তীর্ণ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ নিয়ে নানা দুর্যোগের মুখোমুখি হয়। ‘রিং অফ ফায়ারে’ অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় টেকটোনিক প্লেটগুলোর প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।

গত ২১ নভেম্বর ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে পশ্চিম জাভার সিয়াঞ্জুর শহরে কমপক্ষে ৩৩১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই ভূমিকম্পে আহত হন আরও প্রায় ৬০০ জন। ২০১৮ সালে দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের পালুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং এরপর সুনামির আঘাত হানার কারণে ৪ হাজার ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান কিংবা নিখোঁজ হন।

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং সুনামির সূত্রপাত ঘটে; যাতে ওই অঞ্চলে মোট ২ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজারই ইন্দোনেশিয়ার মানুষ।

সূত্র: এপি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by