বাংলাদেশ

ইসির প্রথম সংলাপে সাড়া দেননি ১৭ শিক্ষাবিদ

  প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২২ , ৫:০০:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইসির প্রথম বৈঠক শুরু হয়

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকে সাড়া দেননি ১৭ জন শিক্ষাবিদ। সংলাপে আউয়াল কমিশনের প্রথম বৈঠকে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন মাত্র ১৩ জন শিক্ষাবিদ।

আজ রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ইসির প্রথম বৈঠক শুরু হয়েছে। ইসি জানায়, মূলত শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিতেই এ সংলাপের আয়োজন করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

সংলাপে অংশ নেওয়া ১৩ জন শিক্ষাবিদের মধ্যে ১১ জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- সাদেকা হালিম, মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, আবদুল মান্নান চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতার হোসেন, আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, জাফর ইকবাল, বোরহান উদ্দিন খান, লায়লাফুর ইয়াসমিন।

 

আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদরা হলেন-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম; বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ; বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইউল্যাবের জেনারেল এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস হাসান ও তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার।

এর আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর নবগঠিত কমিশন রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসে। ২০০৮ সালে ইসির নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু করা এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন দুইবার সংলাপে বসেছিল। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়ও সংলাপ হয়েছিল। বিগত নুরুল হুদা কমিশনও সংলাপ করেছিলেন নির্বাচনী অংশীজনদের নিয়ে। তবে নবনিযুক্ত হাবিবুল আউয়াল কমিশনের মতো দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মাসেই সংলাপে বসেনি কোনো কমিশন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন (২৭ ফেব্রুয়ারি) শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। বর্তমান কমিশন সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সেই অনুযায়ী নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির কাজে হাত দিতে চায়। প্রয়োজনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আবারও বিভিন্ন দল ও মহলের সঙ্গে বসতে পারে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনেই আগামী ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by